করোনা: পুলিশ সদস্য আশেকের দাফন
ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় করেনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আশেক মাহমুদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় তার মরদেহ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া কেন্দ্রীয় গোরস্থানে পৌঁছালে সেখানে জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টায় কোনো আত্মীয়-স্বজন না আসায় আইইডিসিআরের নিয়ম অনুযায়ী মেলান্দহ থানার পুলিশ সদস্যরা তার মরদেহ দাফন করেন।
ঢাকা বিমান বন্দর এলাকায় কর্মরত অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আশেক মাহমুদ ২৬ এপ্রিল করোনা সন্দেহে নমুনা প্রদান করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভের রিপোর্ট আসে। এরপর তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি মারা যান।
বৃহস্পতিবার বিকালে তার মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়ি ঝাউগড়ায় আনা হয়। এসময় এলাকাবাসী ও স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। আশেক মাহমুদকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর দাফন কাজের জন্য কেউ না আসলে আইইডিসিআর’র নিয়ম অনুযায়ী মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খানসহ পুলিশের ৫ সদস্য তাকে দাফন করে।
মরহুম আশেক মাহমুদ স্ত্রী ও দুই পুত্রসহ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
মরহুম আশেক মাহমুদের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় কাজে কর্মরত থেকে জনগণের সেবা করতে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছে। তারা মরহুম আশেকের বিধবা স্ত্রী সন্তানের জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, জনগণের খেদমত করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন আশেক মাহমুদ। জামালপুর জেলা পুলিশ আজীবন তাদের পাশে থাকব। আমরাই তাদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এলএ)