ফরিদপুরে ভ্রাম্যমাণ বাজারে পণ্যের সমাহার

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ মে ২০২০, ১৬:০৬

দেশে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষকে ঘরে রাখতে ফরিদপুরে আট ধরনের পণ্য নিয়ে শুরু হওয়া ভ্রাম্যমাণ বাজারে এরই মধ্যে পণ্যের তালিকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫-এ দাঁড়িয়েছে। চাল, ডাল, তেল, সাবানের সাথে এখন এখানে রোজাদারদের সুবিধার্থে পাওয়া যাচ্ছে খেজুর-তরমুজ এমনকি বেল-কদবেল-কলাও। এবার যুক্ত হয়েছে হটলাইনেও এসব পণ্য ক্রয়ের সুবিধা। কোনপ্রকার সার্ভিস চার্জ ছাড়াই নামমাত্র পরিবহন খরচ দিলেই সাধারণ ক্রেতার বাড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে কাঙ্খিত পণ্য।

গত মাসের ৪ এপ্রিল ১০টি ট্রাকযোগে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব পণ্য স্বল্প মূল্যে বিক্রি শুরু হয়। পণ্যের মূল্যে কম থাকার কারণে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ায় ২০টি স্থানে বসানো হয় নিত্য পণ্য এই দোকান।

ফরিদপুর জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এই কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক যুবলীগের কর্মী।

কর্মসূচির উদ্যোক্তা ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এএইচএম ফোয়াদ বলেন, সরকার গত ২৫ মার্চ হতে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়ার পর ফরিদপুর সদর আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনায় এই কর্মসূচি চালু করা হয়। এই কর্মসূচিতে আমরা জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।

ইতোমধ্যে শহরের প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের মানুষ এই ভ্রাম্যমাণ বাজারের সুবিধা নিয়েছেন। আমরা এখন হটলাইনেও সেবা চালু করেছি। চলমান দুর্যোগে অনেকে ঘর হতে বের হতে না চাইলেও আমাদের কর্মীরা চাহিদা মোতাবেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন কোন চার্জ ছাড়াই।

তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে যতোদিন এই পরিস্থিতি চলবে- ততদিন চলবে এই কার্যক্রম।

শহরের অনাথের মোড়ের এই সুলভ মূল্যের দোকানে পণ্য কিনতে আসা সাইফুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, তিনি বাজার হতে ঘুরে এখানে পণ্য কিনতে এসেছেন। প্রতিটি পণ্যই বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। চালু হওয়ার পর আমার মতো অনেকেই এখান হতেই নিত্য পণ্য ক্রয় করছে তুলনামূলক কম দামে।

আনোয়ারা বেগম নামে ঝিলটুলী সোনালী ব্যাংকের সামনের দোকানে পণ্য কিনতে আসা এক নারী বলেন, এই দোকান বসানোর কারণে অনেক জিনিস কম দামে কিনতে পাচ্ছি। বাজারে বিক্রি হওয়া ৪৫ টাকা দরের বেগুন এখানে ৩৫ টাকা দরে কিনতে পেরেছি।

ভ্রাম্যমাণ এই নিত্যপণ্যের বিক্রি কর্মসূচির তত্ত্বাবধায়ক শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম নাসিম বলেন, গত এক মাসে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডিম বিক্রিসহ প্রায় ৮০ টন চাল, ২৫ টন চিনি, ২০ টন করে ডাল, পেঁয়াজ ও তেল, ১৫ টন করে ছোলা ও আলু, ২ টন খেজুর ও ৪ টন লবণ বিক্রি হয়েছে। খাবার ও গৃহস্থালির যাবতীয় নিত্য পণ্যই এখানে পাওয়া যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৪মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :