পাবনায় প্রস্তুত কোভিড হাসপাতাল, হচ্ছে পিসিআর ল্যাব

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২০, ১৮:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় পাবনা কমিউনিটি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার নয় উপজেলার ছয়টিতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের প্রস্ততি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এরই মাঝে সারা দেশে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের চেষ্টা চলছে। পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মাইক্রোবাইলোজি বিভাগে পিসিআর ল্যাব স্থাপন সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে করোনা মোকাবিলায় পাবনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুত পাবনায় পিসিআর ল্যাবে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে।

তিনি বলেন, করোনা যুদ্ধে চিকিৎসরা ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করছেন। পাবনা কোভিড হাসপাতালে যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দেবেন তাদের জন্য উন্নত খাবার, আবাসনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মানসিকভাবে তাদের চাঙ্গা রাখতে ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিভিশনে কেবল সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কোভিড হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.  আবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে কোভিড হাসপাতালে ১০০ শয্যার জন্য অক্সিজেন সিলিণ্ডার, নেবুলাইজারসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটর স্থাপনে চাহিদাপত্রও দেয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল বলেন, পাবনায় গত ২১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ফেরত একজন ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর একজন চিকিৎসক ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ জেলায় মোট ১১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদের কোনো উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্র হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪মে/কেএম)