চিত্রগ্রাহকদের লাখ টাকা দিলেন কবরী

করোনার এই বিপর্যয়ে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চলচ্চিত্র জগতও। এই পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্রের অনেক বিত্তবান তারকা এবং শিল্পীদের নিয়ে গঠিত সমিতি। কেউ সাহায্য করছেন দুঃস্থ শিল্পীদের, যারা লকডাউনে কাজ না থাকায় পড়েছেন মহা বিপদে। কেউ আবার সাহায্য করছেন মেকআপ ম্যানদের। এবার একসময়কার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ও সাবেক সাংসদ কবরী সারোয়ার দাড়িয়েছেন চিত্রগ্রাহকদের পাশে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহকদের নিয়ে গঠিত সমিতিতে মোট ৮০ জন সদস্য আছে। তাদের মধ্য থেকে এমন ২৫ জনের তালিকা করা হয়েছে, লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকায় যারা চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। সেসব চিত্রগ্রাহকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন কবরী। সংগঠনটির তহবিলে তিনি এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ্য চিত্রগ্রাহক আবদুল লতিফ বাচ্চুর হাতে তিনি টাকাটা তুলে দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে আবদুল লতিফ বাচ্চু বলেন, ‘কাজ বন্ধ থাকায় চিত্রগ্রাহকদের অনেকে গ্রামে চলে গেছেন। লকডাউনের কারণে কেউ আসতেও পারছেন না। আসার ব্যবস্থাও নেই। সব মিলিয়ে বেশ অসহায় অবস্থায় আছেন অনেকে। কবরী ম্যাডামের সঙ্গে এসব নিয়ে আলাপের একপর্যায়ে নিজে থেকেই উদ্যোগী হলেন, যা ছিল বেশ ভালো লাগার। কবরী ম্যাডামের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ আমরা অসহায় ক্যামেরাপারসন ও সহকারীদের কাছে পৌঁছে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘কবরী ম্যাডামের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের পরিচয়। নতুনদের মধ্যে তো কাউকে চিনিও না। আলাপ হচ্ছিল আমাদের সদস্যদের সমস্যা নিয়ে। তখন তিনি নিজ থেকে আগ্রহী হয়ে এই টাকাটা দিতে চাইলেন। দেশের এই যে সংকটের সময়, এই লাখ টাকা কোটি টাকার কাজ দেবে। তার এমন ভালোবাসায় আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।’

এর আগে চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সমিতির তহবিলে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি আর্থিক অনুদান দিয়েছে। এর বাইরে অভিনয়শিল্পী হিসেবে একমাত্র কবরী অর্থসহায়তা দিলেন। কবরী বলেন, ‘চলচ্চিত্রের সবার সঙ্গে কমবেশি বিভিন্ন ইস্যুতে আমার আলাপ হয়। এই করোনায়ও সবার খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। এর মধ্যে শুনলাম, চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সমিতির অনেকেই কষ্টে আছেন। তখন সামান্য কিছু সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিলাম। যাতে সাময়িকভাবে তারা কিছুটা ভালো থাকতে পারেন।’

নায়িকা আরও জানান, ‘দরকার হলে পরবর্তী সময়ে আরও পাশে থাকার চেষ্টা করব। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগ। আমি যেহেতু এই শিল্পের মানুষ, তাই এখানকার মানুষের জন্য আমার আলাদা ভালোবাসা কাজ করে। সব সময় চেষ্টাও করি, আমার সামর্থ্যের মধ্যে যা কুলায়, তা দিয়ে অসহায় ও অসচ্ছলের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এবারও আমি নানাভাবে থাকার চেষ্টা করেছি, চিত্রগ্রাহক সমিতির বিষয়টিও সেটার একটা অংশ।’

ঢাকাটাইমস/০৫মে/এএইচ