ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে সুখ

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২০, ১৭:১০ | আপডেট: ০৫ মে ২০২০, ১৮:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ছোটবেলায় ‘মামার বাড়ি’ কবিতায় ‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে, আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের শাখায় উঠি রঙিন করি মুখ।‘ এরকম ঝড়ের দিনের আম কুড়ানোর স্মৃতি আর বাস্তব জীবনের আম কুড়ানোর স্মৃতি একেবারেই চির রঙিন।

গ্রামে ঝড় এলেই আম বাগানে ছুট। আম কুড়ানোর প্রতিযোগিতা। আবার সারাদিন আমবাগানে থেকে বাতাসে টুপ করে কোন গাছের আম পড়ে। ছোট বনের  মধ্যে সবাই মিলে সেই আম খোঁজা। সেই স্বর্গীয় যেদিন গেছে তা কি আর ফিরে পাওয়া যায়?

তবে এখনও গ্রামে গেলে দেখা মেলে এমন দৃশ্য। কাঁচা আম কুড়িয়ে এনে সে আম ছুলে কচি করে ঝাল লবন মেখে খাওয়া কী যে আনন্দ সেটা মনে হলেই জিভে জল চলে আসে। এমনই দেখা মেলে সিরাজগঞ্জের একটি গ্রামে।

সাকিব, সাব্বির, জাকারিয়া ও সজল। ওরা চার বন্ধু। এপাড়া ওপাড়ায় ঘোরাঘুরি। আর দুরন্তপনায় ব্যস্ত সময় কাটে। মোরগ ডাকা ভোরেই ঘুম ভাঙ্গে ওদের।

ঘুম না ভাঙতেই সাব্বিরদের চিন্তা আমতলা জামতলা কাঁঠালতলা ও লিচুতলায় যেতে হবে। কুড়াতে পাইনসে ফলও। ভোরে আম ও লিচু কুড়ানোই ওদের আনন্দ। এগুলো কোমরে গুজে সকাল পর্যন্ত মজা করে খেয়ে নেয় এই দুরন্তরা।

আম লিচুর মৌসুম শেষে রঙিন জামের প্রতি ওদের নেশা। সববন্ধুরা মিলে মজা করবে৷ আনন্দ করবে। এতেই যেন মধুর তৃপ্তি। সিরাজগঞ্জে এমন দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।

মৌসুমি ফলগুলো ওরা কুড়িয়ে নেয়। তবে মালিকের ক্ষতি করে না। ওরা শিশু। ফল খাওয়ার পাশাপাশি আনন্দই ওদের মূখ্য উদেশ্য। কারো ক্ষতি বা চুরি করা ওদের কাজ নয়।

এমন শিশুদের দুরন্তপনা দেখলে ছোটবেলার কথা অনেকেরই মনে পড়ে যায়। যারা মূলত গ্রামের মানুষ।গ্রামে যারা জন্ম নিয়ে কয়েক বছর বাস করেছেন।

ঢাকাটাইমস/৫মে/এআইএম/এসকেএস