করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন ফেনীর দুই যুবক

‘ডাক্তার–নার্সরা সব সময় সাহস দিতেন। বলতেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারব। আজ সকালে বাড়ি যাব জেনে খুব ভালো লেগেছে। কত দিন পর বাড়ি ফিরতে পারছি, খুব খুশি লাগছে!’

বুধবার বিকালে ছাড়পত্র পাওয়ায় ঢাকাটাইমসকে কথাগুলো বলছিলেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন সোনাগাজীর সেই যুবক।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে থাকা দুজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখানে আনার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখে আরো দুইবার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। গত ৩ মে নমুনা পরীক্ষার দ্বিতীয় ফলাফলে নেগেটিভ আসে। এছাড়া ওই দুই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নমুনাও নেগেটিভ হয়। এর ফলে তাদের ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ১৫ দিন আইসোলেশনে একাকি থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন সুস্থ হওয়া যুবক। তিনি বলেন, বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা রয়েছেন। কিন্তু কখনো এতদিন কোথাও একা সময় কাটাননি। পেশাগত জীবনে সোনাগাজী পৌর শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করছেন। নিজে উদ্যোগী হয়েই নমুনা পরীক্ষা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

করোনা জয়ী ওই যুবক আরো জানান, মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট হওয়ায় নিজ থেকে গত ১৫ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করান। ১৬ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে পাঠানো হলে ২০ এপ্রিল প্রতিবেদন পজেটিভ আসে। ২১ এপ্রিল থেকে ট্রমা সেন্টারে অবস্থান করছেন। সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তিনি জানান, প্রতিদিন নামাজ-কোরআন শরীফ পড়ে সময় কাটিয়েছেন। মনে পড়লেই স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ছাগলনাইয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তাকেও ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেয়া হয়। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া অ্যাম্বুলেন্সে তারা দুজনই যথাক্রমে সোনাগাজী পৌর শহরের উত্তর চরছান্দিয়া ও ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি পৌছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ছাড়পত্র পাওয়া দুজনকেই ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আইসোলেশনে থেকে করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা আমাদের বড় সাফল্য। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৬মে/কেএম)