‘লকডাউন তুলে সরকার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’

প্রাণঘাতী করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লকডাউন তুলে দিয়ে সরকার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রিজভী বলেছেন, আজকে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যখন সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, গ্রামে-গঞ্জে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে তখন লকডাউন খুলে দিয়ে সরকার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।

শুক্রবার টঙ্গীতে গাজীপুর মহানগর যুবদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের লাশ রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছে। টেস্ট করার কোনো উপায় নেই। পর্যাপ্ত মেডিকেল সহায়তা নেই। এটা সরকার খেয়াল করছে না। মানুষের জীবন তাদের কাছে বড় নয় তাদের কাছে টাকাই বড় কথা। সরকারের কথা হচ্ছে মানুষ মরুক আমার যায় আসে না। আমার হাতে টাকা থাকলেই বড় বিষয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, পর্যাপ্ত মেডিকেল সরঞ্জাম না পেয়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স মারা যাচ্ছে। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে, চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সারা পৃথিবীর মধ্যে করোনায় ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর কোনও ভ্রুক্ষেপ নাই। আজকে রাস্তাঘাট খুলে দেয়া হয়েছে, যানবাহন চলছে, গার্মেন্টস খুলে দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার লোক কাজে যাচ্ছে। এতে কত লোক করোনায় আক্রান্ত হবে তা কল্পনাও করতে পারছে না সরকার। সেই আক্রান্তদের তখন না থাকবে চিকিৎসা না থাকবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। মৃত্যুর দিকে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। এই সরকার এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দেশ পরিচালনা করছে। এই পরিচালনা হচ্ছে ধ্বংসের পরিচালনা, এ পরিচালনা হচ্ছে মৃত্যুর দিকে মানুষকে ঠেলে দেয়ার পরিচালনা।’

রিজভী বলেন, ‘লকডাউনে গরিব মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, দিন আনে দিন খায় তাদের চলবে কী করে। পেটের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে, এটা কিছুই মানতে চায় না। আমাদের দল বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে বলেছি, সারা দেশের মানুষের সাথে থাকতে। বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুই বছর অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সকল স্তরের নেতাকর্মীরা যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা খাবেন অন্যরা খাবে না এমন যেন না হয়। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি। নিজেদের টাকায় কেনা খাদ্যসামগ্রী আমরা ১৩ লক্ষ পরিবারকে উপহার হিসেবে দিয়েছি। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলের নেতাকর্মীরা সারা দেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন।’

ত্রাণ বিতরণের সময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার জাবেদ আহমেদ, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভাট, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/৮মে/এমআর