সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহার করুন ফুলের রস
সৌন্দর্য চর্চায় প্রসাধানী না ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপকরণ বেছে নিন। বিভিন্ন ফুলের রস ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারেন সুন্দর।
গোলাপ
ল্যাভেন্ডার
অপরিহার্য তেল হিসাবে এর ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। তৈলাক্ত, শুষ্ক ও স্বাভাবিক, তিন ধরনের ত্বকের জন্যই ল্যাভেন্ডার উপযোগী। ল্যাভেন্ডার ত্বকের পরিশ্রান্তভাব দূর করে। এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্টপূর্ণ হওয়ায় অনেক ফেস মাস্ক এবং ক্রিম তৈরিতে এই ফুল ব্যবহার করা হয়।ক্যামোমিল এই ফুল ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ দেয়। এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর ফলে ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। লালচে ভাব কমায় এবং ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। ক্যামোমিল মূলত তেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। শুকনো ফুলের গুঁড়ো দিয়ে ফেসপ্যাকও তৈরি হয়।
জবা সৌন্দর্য ধরে রাখতে জবার তুলনা নেই। অনেক বিউটি প্রোডাক্টে এই ফুল ব্যবহার করা হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ও ত্বকের সঠিক রং ধরে রাখতে এর জুড়ি নেই। ত্বকের প্রয়োজনীয় তেলের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখে জবা। ত্বককে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে এর রস ব্যবহৃত হয়। এমনকী চুলের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও জবা ফুলের ব্যবহার রয়েছে। চুলের তেল তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়। কারণ এটি স্কাল্পের যত্ন নেয় ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
জুঁই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি এডিং ট্রিটমেন্টের জন্য বিখ্যাত জুঁই। ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরিতে ত্বককে উজ্জ্বল করে এই ফুল। তাই এটি বেশ কয়েকটি সৌন্দর্যের পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
গাঁদা ভারতে বহুল পরিমাণে পাওয়া যায় এই ফুল। এটি ক্যালেন্ডুলা নামেও পরিচিত। এর তেল সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ক্যালেন্ডুলা তেলে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে ব্রণ, ত্বকের দাগ হ্রাস করতে এটি সহায়তা করে। ব্যথা প্রশমিত করতে এবং পোকার কামড়ে জ্বালার উপশম ঘটাতেও গাঁদার রস ব্যবহার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/৮মে/এজেড)