কবিতা

চৈতন্যের চিতা

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২০, ১০:৪৯

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

প্রিয়,আর হাসবার সুখে নেই চিত্ত

 

স্বজনের শত লাশ মর্গে,

 

মৃত্যুর মিছিলে আরো যোগ নিত্য

 

প’ড়ে এক মড়কের খড়্গে।

 

 

উচ্চ ও তুচ্ছের  ভেদাভেদ ঘুচালে

 

মানুষের প্রসৃত বক্ষ,

 

বিদ্বেষ বিষ সব মন থেকে মুছালে

 

দুর্যোগে হতো আরো সখ্য!

 

 

মানবিক কতো দায় মেটাবার জন্য

 

দায়বোধ জেগে থাকে মর্মে,

 

গণ্য-নগণ্য ত্যাগে হয় ধন্য

 

ধর্মের  কাঙ্খিত কর্মে।

 

 

মানুষের মাঝে সব মানুষের পুণ্য

 

তবু একে অপরের পণ্য,

 

নিধনের শরাঘাতে নিজ নৈপুণ্য

 

জাহিরেও নেই কার্পণ্য।

 

 

মমতার মহিমায় প্রাণ হলে পূর্ণ

 

বিত্তই সখা হতো নি:স্বের।

 

বোমা আর বারুদের গোলা হলে চূর্ণ;

 

নি:স্বই অধিপতি বিশ্বের।

 

 

মড়কের বিষবাণ কেড়ে নিলে সব প্রাণ

 

আর কারে শেল মেরে মারবে?

 

বিপন্ন আর কার ত্রাতা হয়ে দেবে ত্রাণ

 

কূটনীতি কল-কাঠি নাড়বে।

 

 

তাই জেট বিমানের ছেঁটে ফেলো পাখনা

 

আর নয় হানাহানি ঘৃন্য,

 

দূর-দূর পাল্লার আঁক কষা থাক্  না

 

সেবা দানে রাখো পদচিহ্ন।

 

 

‘ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই’, এ নীতির চর্চায়

 

এসো তবে বোমাদানু নাশতে,

 

লিখো সেই ইতিহাস কাব্যের কড়চায়

 

মনুষেরে কতো ভালো বাসতে।

 

 

খাদ্য ও আশ্রয়, স্বাস্হ্য ও শিক্ষার

 

ন্যায্যতা এলে এই মর্ত্যে,

 

থাকবে না মানুষের কোনা হাত ভিক্ষার

 

স্রষ্টার সায় এই শর্তে।

 

 

তারপরও চিতা যদি জ্বলে চৈতন্যে

 

বিত্ত ও বোমা নিয়ে মর গে,

 

থাকবে না ভেদাভেদ মানব আর বন্যে

 

তোর ঠাঁই মিলবে না স্বর্গে।

 

.....................................

 

[email protected]