‘সন্তানকে আদর করার সাহস হয়নি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২০, ২১:০১

জীবন বাজি রেখে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই মহামারি কবে দুর হবে কেউ জানে না। শুধু অপেক্ষা। এই রোগের চিকিৎসা দিতে এসে বাড়ছে পিতা মাতার সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব। বাবা বলে বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারছে না ছোট্ট সন্তান। আদর করে বাবা চুমুও দিচ্ছেন না।

এ এক বড় অভিমানের দিনরাত্রি। বাসায় এলেও দূর থেকে দেখা। হাত নাড়িয়ে বিদায়। যেন অস্পর্শ কোনো এক বস্তুতে পরিণত আমি। এমন কথায় লিখেছেন চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক মো. নুরুদ্দিন তাঁর ফেসবুকে। লিখেছেন-

কয়দিন ধরে মনটা খুব খারাপ। অনেক দিন বাচ্চাগুলোকে দেখিনা। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম একটাবার দেখে আসি।

ICU এর রোগীর স্পর্শ এই হাতে। তাই এই হাত দিয়ে নিষ্পাপ সন্তানগুলোকে স্পর্শ করা আদর করার সাহস হয়নি।

রেহানকে এত কনফিউজ আর কখনোই দেখিনি। বাবা কোলে নিয়ে চুমু খাওয়া তো দুর। কাছেই আসতে মানা করছে।

ছবিটা টাইম লাইনে রেখে দিলাম। যদি বেচে থাকি, সামনের কঠিন সময় গুলোতে এই দুঃসহ মুহুর্তগুলো মনে করে inspiration নিব।

আর যদি মরে যাই, মানুষ জানবে যখন এদেশের ডাক্তারদের কাছে প্রানপ্রিয় সন্তান আর অসহায় রোগী, দুইটার মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার অপসন ছিল। তখন তারা হাসি মুখে সন্তানদের পিছনে রেখে অসহায় রোগীদের

পাশে দাঁড়িয়েছিল। "বিধাতা যাকে দেন অলৌকিক আনন্দের ভার বক্ষ তাহার ভাসে বেদনায় অপার।"

মো. নুরুদ্দিন, মেডিকেল অফিসার,(সিসিইউ) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ

ঢাকাটাইমস/৯মে/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :