স্বজনরা করোনা আতঙ্কে, মুক্তিযোদ্ধার দাফনে ইফার লোকজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২০, ২২:৫৮

একসময় শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছেন রণাঙ্গনে। যাকে নিয়ে গর্ব করেন পরিবারের লোকজনও। নিজে মুক্তিযোদ্ধা হওয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা কোনো না কোনোভাবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা পান। অথচ মহামারি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা হাসিম উদ্দিনের দাফন করতে এগিয়ে এলো না স্বজনরা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লোকজন তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায়। উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাসিম উদ্দিন কয়েকদিন যাবত জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন। শুক্রবার রাত আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জে ছেলের বাসায় মারা যান।

পরে শনিবার ভোরে তার মরদেহ নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ি দুওজ চরপাড়ায় পৌঁছালে লাশ দাফন কাজে স্বজনরা কেউ এগিয়ে আসে না। এমন সংবাদ শুনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আটপাড়া উপজেলার ‘মৃতদেহ কাফন-দাফন ও সৎকার কমিটির’ সদস্যদের নিয়ে এগিয়ে আসেন জেলা ইসলামিক ফাউণ্ডেশন সহকারী পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার। তার সঙ্গে ছিলেন ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মাহবুবুল হক, মুফতি ইয়াসিন, ক্বারী আ. হাই, হাফেজ ইয়াহিয়া, মাওলানা হাসেম ও মাওলানা গোলাম রাব্বানী।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানিয়ে জানাজা ও পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জানা গেছে, মরহেদ প্যাকেটিং করা, কাপড় ও পলিথিন মোড়ানো, কবর খনন করা, মরদেহ কবরস্থ করার কাজগুলো ফাউন্ডেশনের লোকজন করেছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহকারী পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, নেত্রকোনা জেলায় যেকোনো জায়গায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তাদের কাফন-দাফনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা প্রস্তুত আছে।

(ঢাকাটাইমস/০৯মে/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :