এবার মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে ছাত্র অধিকার পরিষদ

প্রকাশ | ১০ মে ২০২০, ২২:৪৩

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনে সারাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়া গরিব ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে অনেক সামর্থ্যবান মানুষ। তাদের জন্য পৌঁছানো হচ্ছে সরকারের ত্রাণ সহযোগিতাও। দীর্ঘ দিন টানা লকডাউনের ফলে নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি দিনদিন অবস্থা খারাপ হচ্ছে মধ্যবিত্তদেরও। চক্ষুলজ্জায় তারা দাঁড়াতে পারছেন না ত্রাণের লাইনে। অসহায়ত্বের কথা বলতে পারছেন না কাউকে। এবার এসব মধ্যবিত্তের পাশে দাঁড়িয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ছাত্র সংগঠন সাধারণ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, তারা ইতিমধ্যে এক হাজার ৫০টি মধ্যবিত্ত পরিবারকে দশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা করেছে।

মধ্যবিত্তদের ফান্ড কালেকশনের ক্ষেত্রে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন সংগঠটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তার কাজে সহযোগিতা করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল, একই শাখার কর্মী শা'দাত ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিরিন সুলতানা।

এমন ব্যাতিক্রম উদ্যোগের ব্যাপারে রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা সারাদেশের প্রায় সবগুলো জেলাতে গরিব ও অসহায়দের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আর মধ্যবিত্তদের জন্য আলাদাভাবে টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে ১০০০ মধ্যবিত্ত পরিবারকে সহায়তা করার টার্গেট নিলেও আমরা ইতিমধ্যে মোট ১০৫০টি মধ্যবিত্ত পরিবারকে সহায়তা করেছি। ১০৫০টি পরিবারকে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপহার দেয়া হয়েছে। আমাদের সাথে যেসকল পরিবার যোগাযোগ করছে আমরা বিভিন্নভাবে যাছাই বাছাই করে তাদেরকে বিকাশের মাধ্যমে এসব উপহার দিয়েছি।

এসময় তিনি তাদের এ উদ্যোগে সময়, শ্রম দিয়ে সংগঠনের যেসব নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করছেন এবং দাতা হিসেবে যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের যেসব শিক্ষার্থী আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছিল তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যেসকল ইমাম মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা যোগাযোগ করেছেন, তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। সন্তানদের দুধ কেনার জন্য কেউ যোগাযোগ করলে তাদের কাছেও সহযোগিতা পৌঁছিয়ে দিয়েছেন বলে জানান এই নেতা।

মধ্যবিত্তদের সহযোগিতার বিষয়ে সংগঠনটির আহবায়ক হাসান আল মামুন বলেন, রাশেদ ও নাজমুলকে এই কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা খুব সুন্দরভাবে কাজটি করতে পেরেছে। তিনি বলেন, সরকার যখন মধ্যবিত্তদের নিয়ে কোনো চিন্তা করছে না, সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ব্যতিক্রম। এই মানুষগুলো লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে পারে না, মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইতে পারে না তাই ব্যাতিক্রম হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আমাদের সংগঠন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সংগঠিত হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সংগঠনের আবির্ভাব। সর্বশেষ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে সহ-সভাপতি এবং সমাজ সেবা সম্পাদকে জয় পায় সংগঠন থেকে মনোনীত নুরুল হক নুর এবং আখতার হোসেন।

(ঢাকাটাইমস/১০মে/এমআই/জেবি)