কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. নাজিরুল ইসলাম

প্রকাশ | ১১ মে ২০২০, ০০:২৪ | আপডেট: ১১ মে ২০২০, ০৯:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)-এর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের স্বনামধন্য কৃষিবিজ্ঞানী ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের কাছে যোগদানপত্র প্রদানের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে  মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত ০৫ মে  কৃষি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত আদেশ বলে তিনি বারির মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।   

ড. মো. নাজিরুল ইসলাম ১৯৬২ সালের ১০ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন।

বারির মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি বারির পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতোপূর্বে তিনি বারির উদ্ভিদ কৌলিসম্পদ কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বারির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও তিনি আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, নরসিংদী, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বরিশাল, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোর এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রাজবাড়ী, দিনাজপুরে সফলভাবে কৃষকের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ করেন।

ড. মো. নাজিরুল ইসলাম ২০০৬ সালে ফিলিপাইনের ইউনিভার্সিটি অব দি ফিলিপাইন, লস ব্যানস থেকে উদ্যানতত্ত্ব ও কৌলিসম্পদ (মাইনর) বিষয়ে সফলতার সাথে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সায়েন্টিফিক জার্নালে তার ২৭টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করেন।

দেশের কৃষি গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য ড. মো. নাজিরুল ইসলাম-কে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করেন। দেশে নারিকেল নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। 

তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সিম্পোজিয়ামে যোগদানের উদ্দেশ্যে ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেন। এছাড়া তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ উদ্যানতত্ত্ব সমিতি, বাংলাদেশ কীটতাত্ত্বিক সমিতি, বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিজ্ঞানী সমিতি এবং বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সদস্য।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/এলএ)