রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর যেসব খাবার

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১১ মে ২০২০, ২১:০৪

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক ও গবেষকরা। সাধারণ ফ্লু থেকে করোনা সবরকমের অসুখ থেকে বাঁচতে এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কোনো বিকল্প নেই।

দীর্ঘদিনের কোনও অসুস্থতা, অনিদ্রা, মানসিক চাপ, মদ্যপান ও ধূমপান সবকিছুই রোগ প্রতিরোধ কমে আসার অন্যতম কারণ হতে পারে। শরীরে পুষ্টি না থাকলে প্রভাব পড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর।

তাই শরীরচর্চার পাশাপাশি এমন কিছু খাবারও প্রতিদিনের পাতে রাখতে হবে যা শরীরকে মজবুত করার পাশাপাশি রোগবালাই প্রতিরোধও করবে। এই ধরনের যেসব খাবার খেতে পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন তা তুলে ধরা হলো।

তেতো খাবার

রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতিদিন খাবারের পাতে হয় নিম পাতা, নয়তো উচ্ছে রাখুন। এসবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে মজবুত রাখে ও বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত প্রোটিন

খাবার পাতে উদ্ভিজ্জ বা প্রাণীজ, যে কোনও রকমের প্রোটিন রাখুন। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম এসব থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করবে।

লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদ

ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার মতো কিছু মশলাপাতিও মোক্ষম কাজ দেয়। তার মধ্যে রয়েছে লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদ। রান্নায় যোগ করুন লবঙ্গ ও দারচিনি। এদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।

কাঁচা হলুদের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায়। কাঁচা হলুদ টুকরো করে কেটে চিবিয়ে খান, নয়তো বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান। বিশেষ করে শ্লেষ্মাজনিত অসুখের বিরুদ্ধে বড় ঢাল হয়ে উঠতে পারে এই কাঁচা হলুদ।

রসুন

সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলেই ভ্যানিশ হতে পারে অর্ধেক রোগবালাইয়ের শঙ্কা। প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা রসুনের রয়েছে অনেক কার্যকরী দিক।

খালি পেটে অর্থাৎ অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর রসুন খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে বেশি পরিমাণে। এছাড়া রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি ইত্যাদি প্রতিরোধেও রসুনের ভূমিকা অনেক। শ্লেষ্মাজনিত অসুখ রুখতে রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধের দেওয়ালকেও মজবুত করে। তাই এসময় রান্নাতেও ব্যবহার করুন রসুন।

সবুজ শাকসব্জি ও ফল

ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে শরীরকে স্বাভাবিক শক্তির জোগান দিতে ও ভিটামিন সি-খনিজের উপাদান যেন ঘাটতি না পড়ে সেসবের দিকেও নজর দিতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ১০০ গ্রাম ওজনের যেকোনও ফল খান। সঙ্গে রাখুন পর্যাপ্ত সবুজ শাকসব্জি।

টক দই

টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। টক দইয়ে থাকা প্রো বায়োটিক উপাদান লিভারকে সুস্থ রাখে। আবার কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। দুধের তুলনায় দই অনেক বেশি সহজপাচ্য। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে দই অসামান্য কাজ করে। নেই। শরীরের টক্সিন যত সরবে সুস্থতার পথে ততই এগিয়ে থাকা সম্ভব।

পানি

শরীরে পানির ভাগ কমলে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে তেমনই ডিহাইড্রেশন থেকে হওয়া নানা সমস্যার কারণে শরীর সহজেই ভাইরাসের শিকার হয়। তাই পানি পানের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সম্ভব হলে পানি ফুটিয়ে পান করুন। শরীরের টক্সিন বের করে দিয়ে পানি শরীরকে সুস্থ রাখবে।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :