বেলা অবেলায় কেটে যায় জীবন

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২০, ১৩:৩৩

আরিফুর রহমান দোলন

জীবন বড়ই বিচিত্র। জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে বিচিত্র সব ঘটনা। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, দুঃখ-সুখ, ভালো-মন্দে জীবন এগিয়ে চলে। খরস্রোতা নদীর মতো। কিংবা বুলেট ট্রেনের গতিতে এগোয় আমাদের জীবন। এরপর হুট করে পেছন থেকে টোকা মারেন টিকিট সুপারভাইজার। নির্দিষ্ট গন্তব্যের আসার কথা মনে করিয়ে দেন। অবশেষে থেমে যায় জীবন। কত সব অভিজ্ঞতা যে হয় জীবনে!

কাছের মানুষ মনে হয় যাদের তাদের কারো কারো থেকে আসে বিশ্বাসঘাতকতা। পর ভেবে যাদের দূরে ঠেলে দেওয়া হয় তারা পরিচয় দেন চরম বিশ্বস্ততার।

বাঁচতে, একটু ভালো থাকতে কত কি-ই-না করি আমরা। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম, প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ, অনিয়ম, অসততা, কতকিছু। তবু কি শেষ পর্যন্ত মানুষ বাঁচতে পারে! চূড়ান্তভাবে ভালো থাকা যায়? শিশু, অতঃপর কিশোর, এরপর তরতাজা যুবক এবং পরিশেষে অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা! দম ফুরিয়ে যায়। অবসান ঘটে জীবনের। এর আগে একের পর এক বসন্ত শেষ হয়। প্রত্যেকের জীবনে।

ঠিক তেমনি নিজ জীবনের আরো একটি বসন্ত পেরিয়ে নতুন বসন্ত শুরু হবে আমার ১৪ মে। এদিন দুনিয়ায় আসা। তরতর করে ফুরিয়ে যাচ্ছে জীবনের সময়। বেঁছে থাকতে, টিকে থাকতে, এগিয়ে যেতে কত বহুমুখী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি যে হয়েছি!

নির্দিষ্ট ছকে বেঁধে চলা হয়নি জীবনের এই সময় পর্যন্ত। নিজের বৃত্ত নিজেই ভেঙেছি বারবার। একমুখী পেশাগত জীবন হয়েছে বহুমুখী পেশায় ভরপুর। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজকর্ম। অতঃপর উদ্যোক্তা। এবং রাজনীতি।

সাফল্য, ব্যর্থতা দুইই আছে। ভেঙে পড়িনি কখনো। মনোবল হারাইনি। সড়ক দুর্ঘটনায় সাক্ষাৎ হয়েছে মৃত্যুর সাথে, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি মরতে মরতে বেঁচে গেছি। ভেবে শিহরিত হই আজও। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা, তালাবদ্ধ হয়ে যাওয়া গাড়ি আকস্মিক খুললোই বা কী করে! আর সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত ফিরেই বা গেল কোন অলৌকিক ইশারায়। হাজারো মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা পেয়েছি তখন এবং পরবর্তী সময়ে। আবার যাদের খুব কাছের ভাবতাম খোঁজও নেননি। দুঃখ পাইনি। মানুষকে চেনার, জানার, বোঝার চেষ্টা করেছি অবিরাম।

স্কয়ার হাসপাতালের অবহেলায় ভুল চিকিৎসায় প্রায় পঙ্গুত্ববরণ করতে যাওয়া এই আমি আজও নিশ্বাস নেই, ছুটে বেড়াই অবিরাম আর নানা কাজে ডুবে থাকি এটা কম কথা নয়। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ডাক্তার জেফরি চিউয়ের প্রাণান্ত চেষ্টায় আমি সেরে উঠেছি ঠিকই। কিন্তু বা পায়ের গোড়ালির ক্ষত মনে করিয়ে দেয় অনেককিছু।

জীবন চলার পথে এমনি অনেক ক্ষত আছে। কিন্তু এসব সারিয়ে ছুটে চলেছি। বহুমুখী কাজের মাধ্যমে জীবনে বোঝার চেষ্টা করছি। চলার পথ কখনো মসৃণ, কখনো বন্ধুর ছিল। অফুরান স্নেহ, ভালোবাসা সমর্থন পেয়েছি অনেকের। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আবার অকারণে ঈর্ষার পাত্রও হয়েছি কারো কারো। বিনা কারণে ঈর্ষাকাতররা নিন্দা করতে চেষ্টা করেছেন। ভাড়াটে নিন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে। হয়েছে হামলা, মামলা, নির্যাতন। আবার ভালো কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি। পুরস্কৃতও হয়েছি বিভিন্ন সময়।

শত্রুতা থাকবে। ঈর্ষাকাতররা পিছু লেগে থাকবে। তাই বলে দমে যাবো? না। দমে যাওয়ার জন্য তো আসিনি। করবো, লড়বো, জিতবো। জনকল্যাণে বিলিয়ে দেবো নিজেকে। বাঁধা আসবে। আসুক। ঐক্যবদ্ধভাবে ভালোকে নিয়ে মন্দকে প্রতিহত করব।

জীবনের সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটে গিয়েছে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর। বাবাকে হারিয়েছি আকস্মিকভাবে। থাকা না থাকার পার্থক্যটা খুব বুঝি এখন। মা-বাবার একমাত্র সন্তান আমি। অফুরান স্নেহ, ভালোবাসা পেয়েছি সবসময়। সাথে কঠোরভাবে পারিবারিক শৃঙ্খলা পরায়ণতার শিক্ষা। পেশা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছে পূরণের শতভাগ স্বাধীনতা পেয়েছি সম্ভবত একমাত্র সন্তান হওয়ার কারণে। খানিকটা স্বাধীনচেতা, আজন্ম প্রতিবাদী স্বভাব উদ্বুদ্ধ করেছে পুরোমাত্রায় সাংবাদিকতায় আসতে। ছাত্রজীবনের বাংলাবাজার পত্রিকা, বিচিত্রা, অধুনালুপ্ত অন্বেষায় যুক্ত হয়েই মনে হয়েছে থিতু হবো এই পেশাতেই। ফরিদপুরের কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী, আলফাডাঙ্গা এ জেড উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষার পর দেশে ফেরার পরেরদিন সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় ফুলটাইম সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। কোর্টচাঁদপুরের হুন্ডি কাজলের মুখোশ উন্মোচন কিংবা খুলনার কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের গডফাদারদের স্বরূপ অনুসন্ধান করতে গিয়ে লোমহর্ষক সব অভিজ্ঞতার হাতেখড়ি। হুমকি-ধামকি যত পেয়েছি তত অনুপ্রাণিত হয়েছি। এরপর একদশক পেশাগত জীবন প্রথম আলোয়, যখন আজকের মতো ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম বা নিউজ পোর্টালের জ্বলজ্বলে উপস্থিতি ছিল না। সারাদেশ ঘুরে ঘুরে গডফাদার, সন্ত্রাসী আর জঙ্গীবাদের সুলুক সন্ধান করতে হয়েছে ধৈর্য্য, নিষ্ঠা আর পরিশ্রমের সাথে। শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের জেএমবির জঙ্গি কর্মকাণ্ড অনুসন্ধান করতে বারবার জীবনের ওপর হুমকি এসেছে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থীদের কর্মকাণ্ড অনুসন্ধানেও ঝুঁকি কম ছিল না। গডফাদারদের স্বরূপ সন্ধানে বহুবার রক্তচক্ষুর মুখোমুখি হয়েছি। হামলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকারও হয়েছি। বিএনপি-জামায়াত সরকারের মন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্রের প্রাণনাশের হুমকি মোকাবিলা করেছি। প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়া যেন ডালভাতই হয়ে যায় এক সময়। বিচিত্র সব রূপ দেখি ক্ষমতাশালী আর প্রভাব বলয়ে থাকা ব্যক্তিদের। এরাই আবার ভিন্ন চেহারায় দেখা দেন ১/১১’র সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়।

নিজ দলের শীর্ষ দুই নেত্রীকে সরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার তৎপরতা দেখেছি খুব কাছ থেকে। রাজনীতি যে কতটা নিষ্ঠুর, ক্ষমতার খেলা যে কতটা নির্মম তা দেখে বারবার বিস্মিত হয়েছি। যোগ্যতাও যে এক ধরনের অযোগ্যতা আমাদের রাজনীতিতে তা বুঝতেও দেরি হয়নি। প্রথম আলো পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার, স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে রাজনীতি, প্রশাসনের হাঁড়ির খবর তুলে আনার বহুমুখী কায়দা রপ্ত করতে কসরত কম করিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিন- এর উপ-সম্পাদক, আমাদের সময় পত্রিকার উপ-সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাভিশন টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার। বাঁক খাওয়া পেশাগত জীবনে একই সঙ্গে ব্যবসায় থিতু হওয়ার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার। সমান্তরালভাবে সমাজকর্মে যুক্ত থাকার।

বিশেষত, জন্মস্থানের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমাজের সামনের কাতারে নিয়ে আসার ভিন্নমাত্রার এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে থাকি দেড় দশক আগে। প্রপিতামহের বহুমুখী সমাজকর্মের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গঠন করি কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সুবিধার জন্য নিরন্তর কাজ করতে গিয়ে বিপরীতমুখী অভিজ্ঞতা হয়। একদল মানুষের সমর্থনের পাশাপাশি কাছের, দূরের কারো কারো চক্ষুশূল হয়ে উঠি। অকারণ সমালোচনায় মুখর হন এমন দু-একজন যারা নিজের সামর্থ্যের এতটুকু ব্যয় করেন না পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য।

যে রাজনীতিকে পেশাগত জীবনে দেখেছি একভাবে বিস্ময়করভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাই সেই রাজনীতিতেই, পুরোমাত্রায়। সিদ্ধান্ত ভুল নাকি সঠিক সেটি সময়ই বলে দেবে। যদিও আমার বিবেচনায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সেবা আর উন্নয়নে রাজনীতির চেয়ে ভালো প্লাটফর্ম আর কিছু হতে পারে না। এক সময় বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বর্তমানে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে মূল রাজনীতিতে যে ভূমিকা রাখার সুযোগই হোক না কেন জন্মস্থান ফরিদপুর আর আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালীর তৃণমূল স্তরের মানুষের সঙ্গে যে নাড়ির সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সে-ও এক বিরাট প্রাপ্তি।

রাজনীতিতে এসে বুঝেছি যে প্রতিপক্ষ বিরোধী দলের রাজনৈতিক দর্শনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে টিকে থাকার যন্ত্রণার চেয়ে নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বীর অকারণ শত্রুতা মোকাবিলা করা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি কঠিন। ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হয়ে গেলে নিজ দলের রাজনৈতিক প্রতিযোগীর বহুমুখী ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়া একালের রাজনীতির প্রবণতা কিনা জানিনা। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করার পাঠ আমার হয়েছে, হচ্ছে। দলের মধ্যে উপদল সৃষ্টি করে বিভক্তির মধ্যে ঠেলে দেওয়ার যে কূটকৌশল রাজনীতির একটা খেলা, সেই অভিজ্ঞতা যে কি সেটি এখন হাঁড়ে হাঁড়ে বুঝতে হচ্ছে। অতি পূজনীয় পিতৃকূল, মাতৃকূলকে অহেতুক বিতর্কিত করার অপচেষ্টার মাধ্যমে নিজ দলের সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক কর্মীকে চাপে রাখা যে এক শ্রেণীর জনভিত্তিহীন রাজনৈতিক নেতার অপকৌশল তার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগও হয়েছে। ভাড়াটে খুনির মতো ভাড়াটে নিন্দুক আর ভাড়াটে অভিযোগকারী পেছনে লাগিয়ে রাখাও যে প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিযোগী রাজনৈতিক কর্মীর অনৈতিক আরেক খেলা সেটাও অল্পবিস্তর এখন জানার সুযোগ হয়েছে।

তবু সরল, সোজা, ইতিবাচক কর্মকাণ্ডকেই আমি আমার অবলম্বন মনে করি। তথাকথিত সাফল্যের জন্যে বাঁকা পথে যেতে চাইনা, যাবোনা-এটাই আমার অঙ্গীকার।

গণমাধ্যম কর্মী, নির্মাণ, সরবরাহ, জনশক্তি রপ্তানি, ট্রাভেল এজেন্সি, মৎস ও কৃষি খাতের উদ্যোক্তা, রাজনৈতিক কর্মী না-কি সমাজকর্মী? কোনটি আসলে আমার পরিচয়। মাঝেমধ্যে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি। হ্যাঁ, আমার পরিচয় আমি একজন মানুষ। ‘সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ কবির এই আপ্ত বাক্যকেই মেনে জীবন চলতে চাই।

গণমাধ্যম, রাজনীতি আর ব্যবসার মধ্যে ত্রিমুখী স্বার্থের দ্বন্দ্ব আছে। বিস্ময়করভাবে জাড়িয়ে আছি তিন ক্ষেত্রে। শুধু মিডিয়াকর্মী হিসেবে কি দিব্যি ছিমছাম পেশাগত জীবন কাটিয়ে দেওয়া যেতো না? এই প্রশ্নের উত্তরে বলবো, না যেতো না। অন্তত আমাদের দেশে যে দলকানা সাংবাদিকতার প্রবণতা সেখানে শুধু গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে টিকে থাকার বহুমুখী ঝুঁকিটাই আছে। না আছে আর্থিক নিরাপত্তা, না আছে স্বাধীনভাবে কাজ করার পেশাগত নিরাপত্তা। বৃহৎ ব্যবসায়ী শিল্পগোষ্ঠীর মন জুগিয়ে আর ক্ষমতা ও প্রভাবশালীদের মন ভুলিয়ে এবং দলীয় অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের মতো বিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য হয়েও কি খুব ভালো আছেন অধিকাংশ সংবাদকর্মী? টেলিভিশনের পর্দা কাঁপানো অতি পরিচিতি মিডিয়া হাউসের গুরুত্বপূর্ণ কর্মীর বেতনও যখন মাসের পর মাস বকেয়া থাকে তখন বহুমুখী পেশার একজন মিডিয়া কর্মী হয়ে আমার কোনও খেদ নেই। বরং মনে হয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার চ্যালেঞ্জটা আরো আগে নিলেই ভালো হতো বৈ-কি।

বৈচিত্রে ভরপুর জীবনটা এভাবেই এগোচ্ছে। প্রকৃতির নিয়মে নিশ্চয়ই একদিন থেমেও যাবে। করোনাকাণ্ডের মতো হয়তো আরও কতকিছুর মোকাবিলা করেই এগোতে হবে আমাদের। বেলা অবেলায় কাটবে জীবন। জন্মদিনে আমার প্রত্যয়-

‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে

আসে নাই কেহ অবনী পরে,

সকলের তরে সকলে আমরা

প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’

লেখক: সম্পাদক, দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং সাপ্তাহিক এই সময়।