ইতালির শহরগুলো স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে
ইতালিতে বিপর্যস্ত শহরগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইউরোপের দেশ ইতালিতে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেয়া হচ্ছে। গত ৪ মে থেকে দেশটির বিভিন্ন কারখানা এবং দোকানপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিস্থিতি নজরে রাখছে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে ক্রমে সেই আগের কর্ম চাঞ্চল্যে ফিরে যেতে শুরু করেছে ইতালি। দীর্ঘ দুই মাস পর সরকারের দ্বিতীয় ধাপে (ফেস-২) ঘোষণার পর দোকানপাট খুলেত শুরু করেছে।
সোমবার থেকে সেখানকার দোকান, রেস্টুরেন্ট এবং সেলুন খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দোকানপাট খোলার পর এবার ১৮ মে থেকে মসজিদ , গির্জা খুলে দিচ্ছে ইতালি সরকার। শর্তসাপেক্ষে এসব মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এছাড়াও এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অঞ্চলে অবাধে চলাফেরা করতে পারবেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন বর্ডার খুলে দেওয়া হবে। ইতালিয়ান অন্য দেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন।আগামী ৩ জুন থেকে দেশটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হচ্ছে। এতে করে ইতালির নাগরিকরা অন্য দেশে যেতে পারবেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছে ইতালি। এরই অংশ হিসেবে দেশটিতে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত শহর গুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই মার্চে প্রথম দেশজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। এখন সংক্রমণ কমে আসতে থাকায় দেশটি লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসছে।আজ শনিবার ১৬ মে দেশটিতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৬০৫ জন। আজ নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৮৭৫জন এবং প্রাণহানির সংখ্যা ১৫৩ জন।
শনিবার প্রাণহানির সংখ্যা ছিলো লকডাউনের পরে সর্বনিন্ম।এনিয়ে ইতালিতে করোনাভাইরাসে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ হাজার ৭৬৩ জন।
প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে কয়েক শত মানুষ।গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে এই দৃশ্য দেখছে ইতালির মানুষ। তবে সম্প্রতি মৃত্যু এবং আক্রান্তে সংখ্যা কমে আসায় কিছুটা আশা দেখছিলো ইউরোপের এই দেশটির বাসিন্দারা।দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৭৭৫ জন। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৭০ হাজার ১৮৭ জন এবং দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ জন বলে জানিয়েছে নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা।
দেশটির সুরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লাখ ২২ হাজার ৮১০জন।
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/কেএম)