এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের টিউশন ফি স্থগিতে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২০, ১২:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি স্থগিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) ও আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপালকে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুইজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে আইনজীবী মো. সাইফুর রহমান এই নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক পেশাজীবী ও চাকরিজীবী। এছাড়া সরকারের সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন বিলে সুদ মওকুফ করা হয়েছে। ব্যাংক ঋণের বিষয়ে বলা হয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেনিফিট গ্রহণ করা যাবে না। সেখানে এই লোকজনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের মাসিক বেতন পরিশোধে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জীবিকা নির্বাহ করাটা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই সকল সরকারি (এমপিওভুক্ত) স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আদায়যোগ্য মাসিক বেতন স্থগিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমান সময়ে করোনা একটি আতঙ্কের নাম এবং সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক এবং দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পতিত হয়েছে। দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। প্রশ্ন উঠেছে যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারছে না এবং শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না বা সেবা পাচ্ছে না এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসিক টিউশন ফি আদায় করতে পারে কিনা। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাসিক বেতন পুরোপুরি বা আংশিক মওকুফ করেছে। যেটা অত্যন্ত সময়োপযোগী, যুক্তিসঙ্গত এবং মানবিক। কিন্তু আমাদের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চাপ দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে টিউশন ফি আদায় করছে। আদায় করতে না পারলে আগামী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত বা স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে এমন নোটিশও দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য জনস্বার্থে এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলমান থাকে এবং সেইসাথে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও কিছুটা আর্থিক ভাবে স্বস্তি বোধ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এআইএম)