মৃত ব্যক্তি নিলো সরকারি চাল!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ মে ২০২০, ২২:৩৪ | প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২০, ২২:২৭

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৫নং রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৯৩ জন ভোক্তার সংখ্যা আছে। সেই তালিকায় থাকা এক মৃত ব্যক্তির নামে দেড় বছর চাল উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ প্রেক্ষিতে গত ৩ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে ৫নং

রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা খাদ্যগুদামের সাব ইন্সপেক্টরকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জানা যায়, ২০১৬ সালে সারাদেশের ন্যায় দৌলতপুর উপজেলার ৫নং রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ওই তালিকা অনুযায়ী বছরে ৫ বার ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল ১৯৩ জন পরিবারের মধ্যে দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় যে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে অনেকেই আছে এ পর্যন্ত এক থেকে দুইবার চাল উত্তোলন করেছেন। এমনকি ক্রমিক নম্বর ২০ নবীর উদ্দিন, পিতা মৃত দানেশ দফাদার দেড় বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু তার নামের চাল গত ১৬ এপ্রিল উত্তোলন করা হয়েছে।

আরও জানা যায়, ক্রমিক নম্বর ৫৫ সোলাইমান মন্ডল, পিতা ইউনুস আলী নিজে এ পর্যন্ত মাত্র দুইবার চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু প্রতিবার চাল উত্তোলন করা সিটে তার চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে। এছাড়াও ৬৮ ক্রমিকের টগরজান, স্বামী রবিউল ইসলাম এবং ৭০ ক্রমিকের রবিউল ইসলাম, পিতা ফজলুর রহমান উভয়ে স্বামী-স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাদের নাম একই তালিকায় পাওয়া গেছে। ক্রমিক নম্বর ১৮ সাজেদা খাতুন, স্বামী তুজাম, ক্রমিক নম্বর ৩০ টগরজান খাতুন, স্বামী আনারুল, ক্রমিক নম্বর ৪৪ হামেদ শেখ, পিতা করিম শেখ, ক্রমিক নম্বর ৫৬ ইস্তাহার আলী, পিতা আরজান সর্দার এই চারজনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের নামে ভিজিডি

কার্ড আছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো. মাসুদুর বলেন, কেউ মৃত্যুবরণ করলে কিংবা অন্য কোন তালিকায় একই ব্যক্তির নাম থাকলে সেটা দেখার দায়িত্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের। আমার দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারি চাল ডিও করে এনে কার্ডধারীদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, আপনি আমার সাথে সরাসরি দেখা করেন। মোবাইলে এসব সব কথা হবে না। আসলে জানাব বিস্তারিত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে কিনা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। যদি তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :