আম্পান মোকাবিলায় ফরিদপুরে খোলা হয়েছে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় পদ্মাবেষ্টিত ফরিদপুরের সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর এই তিন উপজেলায় খোলা হয়েছে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে ও প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সকল নৌ চলাচল। পাশাপাশি কৃষি ফসল যাতে বিনষ্ট না হয় সেজন্যও কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বইছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা জানান, আম্পান মোকাবিলায় উপজেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নে চারটি ফ্লাড সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ির বাসিন্দাদের সেখানে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে। এছাড়াও সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায়। আপদকালীন সময়ের জন্য শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া, মুড়ি ও গুড় মজুদ করা হয়েছে।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিন্টু জানান, জনগণকে সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, জেলায় এ মৌসুমে ২৩৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে যার ৫০ ভাগই এখনো কাটা হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে এসব ধান বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ৬৫০ একর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এসব কলা ও লিচু গাছ শক্ত বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান,ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলায় সব মিলিয়ে ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শুকনো খাবার আশ্রয়কেন্দ্রে সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২০মে/পিএল