আম্পান তাণ্ডবে বিধ্বস্ত পটুয়াখালী, নিহত ২

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ মে ২০২০, ০৪:৪৭

বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন শিশু আছে। এছাড়া ঝড়ে জেলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় কলাপাড়ায় মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকায় খালে নৌকাডুবে শাহ আলম নামে এক স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাশেদ (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে নিহত হয় সে।

গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছয় বছরের শিশু রাশেদ মারা যায়।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে সকালে ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকায় খালে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হন স্বেচ্ছাসেবী শাহ আলম। এর নয় ঘণ্টা পর ডুবুরিরা তারা মরদেহ সন্ধ্যায় উদ্ধার করে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পটুয়াখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছ। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কলাপাড়ার ও রাঙ্গাবালীর উপজেলার ১৭টি চরের ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

আম্পানে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড বেগে ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে। ঝড়ে গলাচিপার পানপট্টি বাজারের ১০/১২টি দোকান উপড়ে পড়ে। পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালীর উপজেলার ১৭টি চরের ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

চরাঞ্চলসহ দুর্গম অঞ্চলের বেশ কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। আম্পানের ক্ষয়-ক্ষতি মনিটরিং করার জন্য জেলা ও উপজেলায় ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলায় মোট ৭৫২টি আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে ৩২৫টি মেডিকেল টিম করছে। পায়রা বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্কাবস্থানে রয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বন্দরের সকল কার্যক্রম।

এদিকে শহর রক্ষা বাঁধ উপচে শহর প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তা এবং বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বাড়িঘর ডুবে গেছে। ভেসে গেছে অনেক চাষির মাছের ঘের। ওইসব এলাকার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২১মে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :