পশুর নদীতে লঞ্চডুবি, কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ মে ২০২০, ১৩:৪৯

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে মংলার পশুর নদীতে পর্যটকবাহী একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এতে কেউ নিখোঁজ হয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি। এছাড়া ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাসহ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম ও অসংখ্য চিংড়ি ঘের।

পশুর নদীর তীরবর্তী কানাইনগর, কলাতলা, সুন্দরতলাসহ বিভিন্ন জায়গায় দুর্বল বেড়িবাঁধের কয়েকটি জায়গা ধসে পানিতে তলিয়ে গেছে। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও মংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এতে অসংখ্য চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ জেড এম তৌহিদুর রহমান জানান, প্রায় দুই সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের সম্পূর্ণ ভেসে গেছে।

এদিকে আম্পানের তান্ডবে সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন, লাউডোব, দুবলা ও মরাপশুর ক্যাম্পের জেটি, ঘরবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের ভেতরে মিষ্টি পানির পুকুর প্লাবিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। তবে এখনও এ এলাকার উপর দিয়ে মাঝারি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এদিকে বন্দরের মালামাল ওঠানামার কাজসহ সব অপারেশন কাজ বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান বলেন, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালেও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দিনে এবং রাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয় ৪৮ হাজার মানুষ। ঝড় কিছুটা কমে যাওয়ায় তারা এখন নিজ বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। তবে ঝড়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের তালিকা পাওয়ার পর জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু সিগন্যাল নামিয়ে আনা হয়েছে, তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য বোঝাই-খালাসের কাজ শুরু করা হবে।’

ঢাকাটাইমস/২১মে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :