রোগ ও জীবাণু প্রতিরোধে হলুদ মেশানো দুধের আশ্চর্য গুণ

প্রকাশ | ২১ মে ২০২০, ১৬:৫৫

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

নভেল বরোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নির্ভর করে অনেকটাই খ্যাদ্য তালিকার ওপর।

তবে খুব সহজেই বাড়িয়ে নিতে পারেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হলুদ মেশানো দুধ খাওয়া শুরু করেন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বলেই প্রমাণিত।

দুধের সঙ্গে হলুদ, আমন্ড ও কাজু মিশিয়ে বানানো ‘টারমারিক লা’ নামের একটি পানীয়তেও পাবেন যথেষ্ট সুফল।

হলুদ, আদা, গোলমরিচ, দারচিনি ও মধু বা ম্যাপল সিরাপ দিয়ে বানিয়েও এই পানীয়টি খাওয়া যায়।

আবার শুধু হলুদ ও মধু মিশিয়ে খাওয়ারও চল আছে। কোভিডের সময় তো বটেই, তার পরবর্তী সময়েও এই হলুদ মেশানো দুধ শরীরের অনেকটা উপকার করবে।

হলুদ মেশানো-দুধে যেসব গুণ

>>এই দুধের আসল উপাদান হলুদের কারকিউমিন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণ থাকার কারণে শরীরের সমস্ত কোষকে নানা রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এই কারকিউমিন। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন কমে আবার সংক্রমণ হলে তা সারেও সহজে। কমে যেকোনও ক্রনিক রোগের আশঙ্কা।

>>দারুচিনি ও আদারও এই গুণ আছে। ফলে তিনটি মিশিয়ে খেলে আরও ভাল কাজ হয়। দুধ আর গোলমরিচ দুইই শরীরে কারকিউমিনের শোষণের হার বাড়ায়। তা ছাড়া তাদের নিজস্ব উপকার তো আছেই।

>>হলুদ-দুধ শরীরে অহেতুক প্রদাহের প্রবণতা কমায়। ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, আর্থ্রাইটিস, অ্যালঝাইমার্স এমনকি ক্যানসারের আশঙ্কা ও প্রকোপও কম থাকে।

>>ওষুধ খেলে যতটা প্রদাহ কমে, নিয়মিত কারকিউমিন খেলেও কমে সেই মাত্রাতেই। ৪৫ জন রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীকে দিনে ৫০০ মিলিগ্রা কারকিউমিন খাইয়ে দিলে ওষুধ না খাওয়া সত্ত্বেও ব্যথা কম থাকে। অস্টিওআর্থ্রাইটিসের রোগীকে কারকিউমিন খাইয়ে তাদের ব্যথার ওষুধের প্রয়োজন কমে আসে।

>>নিয়মিত হলুদ মেশানো-দুধ খেলে কারকিউমিনের প্রভাবে ‘বিডিএনএফ’ নামে এক রাসায়নিকের পরিমাণ বাড়ে শরীরে। আর এটি অ্যালঝাইমার্সের প্রকোপ কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। দারচিনি খেলে মস্তিষ্কে টাউ প্রোটিনের পরিমাণ কমে ও অ্যালঝাইমার্সের উপকার হয়।

>>হলুদ মোশানো দুধ হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তারা রোজ ১২০ মিলিগ্রা দারচিনি পাউডার খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও কমে।

>>রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জীবাণু সংক্রমণ ঠেকাতেও এই হলুদ দুধের কিছু ভূমিকার রয়েছে।

>>দুধে আছে অঢেল প্রোটিন। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত খেতে পারলে ভাল। তা ছাড়া আছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, হাড়-পেশির সুস্থতা বজায় রাখতে যার বিরাট ভূমিকা অনেক।

যেভাবে বানাবেন গোল্ডেন মিল্ক

সাধারণ মাপের এক গ্লাস দুধ নিন। গরুর দুধ সহ্য না হলে আমন্ড বা সোয়াবিনের দুধ নিতে পারেন। তাতে মেশান এক চা-চামচ হলুদ বাটা, অল্প কিছুটা আদা কুচি, আধ চা-চামচ দারচিনির গুঁড়ো, এক চিমটে গোলমরিচ গুঁড়ো।

ফুটতে শুরু করার পর আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ছেঁকে নিন। মিষ্টি স্বাদ চাইলে এতে মধু বা ম্যাপল সিরাপ মেশান। তবে ওজন বাড়ার ভয় থাকলে অল্প মধু মেশান।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/ডিএম)