করোনার চিকিৎসায় বেক্সিমকোর 'বেমসিভির' স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে

করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ রেমডিসিভিরের প্রথম নমুনা হাতে পেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। নমুনা হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এক হাজার রেমডিসিভির ওষুধ দিয়েছে এর উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল। বেক্সিমকোর উৎপাদিত এ ওষুধের নাম বেমসিভির।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ওষুধগুলো তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম কোন ওষুধ হস্তান্তর করায় বেক্সিমকো ফার্মাকে ধন্যবাদ জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওষুধ গ্রহণকালে বলেন, 'বিশ্বের বহুদেশ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশেও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ছয়টি কোম্পনিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা ওষুধ প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। এই ওষুধগুলো আরও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বাজারজাত করতে হবে। উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া উৎপাদিত ওষুধগুলো এখনই বাজারজাত করা যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আরও অনেক ধরনের ওষুধের নাম এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশই শতভাগ কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।

আমেরিকায় উৎপাদিত রেমডিসিভির ওষুধের ন্যায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা উৎপাদিত ওষুধের নাম বেমসিভির করা হয়েছে। এই ওষুধ আপাতত সরকারি হাসপাতালসমূহে চিকিৎসারত ঝুকিপূর্ণ কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশ করানো হতে পারে। একই সাথে এই ওষুধ এখনি বাজারজাত করা হবে না বলেও জানান বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমূল হাসান পাপন।

ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, সিএমএইচডির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহিদুল্লাসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/এএ/ইএস)