সম্পর্কচ্ছেদের কষ্ট ভুলতে চান, যে পরামর্শগুলো আপনার জন্য

প্রকাশ | ২২ মে ২০২০, ০৯:৩৪ | আপডেট: ২২ মে ২০২০, ১৯:১৯

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

হৃদয়ের ক্ষত সারিয়ে তোলা বেশ কঠিন কাজ। কারণ সম্পর্কচ্ছেদের পরও সাবেক সঙ্গীর  স্মৃতি বছরের পর বছর স্থায়ী থাকে। অতিতের ঘটনার উল্লেখ করতেই তার কথা মনে পড়ে ব্যথা অনুভব হয়। এই কষ্ট ভুলতে কয়েক দশক সময়ও লেগে যেতে পারে।

ব্রেকআপ সম্পর্কিত মানুষের আচরণ পরীক্ষা করার জন্য প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে। কালোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ৪০ জন ব্যক্তির ওপর একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন, যারা ছয় মাসের মধ্য ব্রেকআপ করেছেন।

গবেষণার পর তারা আবিষ্কার করেছেন যে, লোকেরা যে কাজ করতে ভালো বাসে বা ভালো বোধ করে সেটি তাদেরকে আরও উজ্জীবীত করে তোলে। এটি ওষুধের প্লেসবো এফেক্টের মতো। গবেষকরা সম্পর্কচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের ওপর এই তত্ত্ব প্রয়োগ করেন, যারা হৃদয় ভাঙার ক্ষত সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন। আশ্চর্যজনকভাবে লোকেরা তাদের পছন্দমতো কাজ করার ফলে দ্রুত সুখী বোধ করতে সক্ষম হন।

যদি আপনি সম্পর্কচ্ছেদের কবলে পড়েন, তাহলে হৃদয়ের ক্ষত সারাতে এই পরামর্শগুলো মেনে চলতে পারেন। এতে খুব দ্রুত আগের কথা ভুলে সামনে এগোতে পারবেন।

আপনার কষ্ট সম্পর্কে কথা বলুন

বেশিরভাগ মানুষ তাদের কষ্টের কথা নিজের মধ্যেই লুকিয়ে রাখে। যা তার কষ্ট আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এজন্য আপনি আপনার কাছের মানুষদের মধ্যে যাকে সবচেয়ে বিশ্বাস করেন বা মনে করেন তাকে সব বলা যায় এমন কাউকে আপনার কষ্টের কথাগুলো খুলে বলুন। এতে আপনার মন হালকা হবে এবং আগের চেয়ে আরামবোধ করবেন।

সম্পর্ক বন্ধ গুরুত্বপূর্ণ

আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পর তার সঙ্গে যোগাযোগ বা পুনরায় ফিরে আসার পথ বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা না যায় তাহলে এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ যোগাযোগ হলে কষ্ট আরও বাড়বে।

সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি বন্ধ করুন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আসার পর থেকে বেশিরভাগ মানুষই সম্পর্কচ্ছেদের পর তাদের সাবেক সঙ্গীর বিষয়ে এসব মাধ্যমে নজরদারী করে। সম্পর্ক ভাঙার পরও সাবেকের জীবনে কী ঘটছে তা জানার লোভ প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়ে। আপনি যত তাড়াতাড়ি এই কাজ বন্ধ করতে পারবেন, সম্পর্কচ্ছেদের কষ্টও তত দ্রুত ভুলতে পারবেন।

প্রয়োজনে সাহায্য নিন

উদাসীন বা বিরক্তি প্রায়শই নিরাপত্তাহীনতা, একাকীত্ব ও ক্রোধের কারণ হতে পারে। এটি কখনও কখনও কোনো ব্যক্তিকে হতাশায় নিমজ্জিত করতে পারে যা আরও মারাত্মক কিছুতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটি হয়ে থাকলে পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নেয়া বা প্রয়োজনে থেরাপি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা টাইমস/২২মে/একে