পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ

প্রকাশ | ২২ মে ২০২০, ১০:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা (ফাইল ছবি)

আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার মুসলিম বিশ্বে জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। আজ জুমার নামাজ আদায়ের পর ধর্মপ্রাণ ও রোজাদার মুসলমানরা নিজের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি তথা মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করবেন।

আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক কয়েকটি পুণ্যময় দিন ও রাতকে মানুষের জন্য বিশেষভাবে মর্যাদাবান করা হয়েছে। রমজান মাসের সর্বোত্তম রজনী হলো লাইলাতুল কদর আর সর্বোত্তম দিবস হলো জুমাতুল বিদা, যা মাহে রমজানে পরিসমাপ্তিসূচক শেষ শুক্রবার পালিত হয়।

জুমাতুল বিদার জামাত আদায়ের জন্য প্রতি বছর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই মসজিদগুলোতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য কল্যাণ কামনার পাশাপাশি দেশ-জাতি ও গোটা মুসলিম উম্মার মঙ্গল ও বিশ্বশান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে কিছুদিন মসজিদে যাওয়ায় বিধিনিষেধ থাকলেও পরে তা উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপর থেকে দূরত্ব বজায়সহ বেশ কিছু শর্ত মেতে মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। গত দুই জুমআয় মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। আজ জুমাতুল বিদাতে অংশ নিয়ে মুসল্লিরা নিজের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি তথা মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করবেন।

ইতিমধ্যে রমজানে মুসলমানরা তিনটি জুমআ অতিবাহিত করেছেন। আজ রমজানের বিদায়ী জুমআর দ্বারপ্রান্তে। তাই কুরআন নাজিলের মাসের মর্যাদা ও বরকতের সঙ্গে জুমআর মর্যাদা ও ফজিলতে মুমিন রোজাদারের আমল ও হৃদয় হোক আলোকিত।

জুমআর নামাজের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, `তোমরা জুমআর নামাজে উপস্থিত হও এবং ইমামের কাছাকাছি হয়ে দাঁড়াও। কেননা যে ব্যক্তি জুমআর নামাজে সবার পেছনে উপস্থিত হবে, জান্নাতে প্রবেশ ক্ষেত্রেও সে সবার পিছনেই পড়ে থাকবে।' (মুসনাদে আহমদ)

মুসলিম উম্মাহর কাছে জুমআর দিনটি সপ্তাহিক ইবাদতের দিন এবং ঈদ হিসেবে গণ্য। এ দিনের ফজিলত এমনিতেই বেশি। তবে রমজানের শেষ দশকে হওয়ার কারণে এ জুমআর সঙ্গে শেষ দশকের ফজিলতও যোগ হয়েছে। জুমআর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সূর্যোদয় হওয়ার সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমআর দিন। এই জুমআর দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমআর দিনই তাকে জান্নাত দান করেন এবং জুমআর দিনেই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং কেয়ামতও এই জুমআর দিনেই অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম)।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের শেষ জুমআ আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের বিগত জীবনের সব গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। জুমআর ফজিলত ও মর্যাদাকে রমজনের ফজিলতের সঙ্গে বাড়িয়ে মুমিনের সব আমলকে কবুল করার মাধ্যমে তাদের হৃদয়ে হেদায়েতের আলোতে ভরপুর করে দিন। আমিন।

ঢাকাটাইমস/২২মে/এমআর