লকডাউন উঠলেও ‘নিয়মের জীবন’ ইউরোপে
ইউরোপে করোনা মহামারির প্রকোপ কমে আসার মধ্যে এই মহাদেশের বেশকিছু দেশ ধাপে ধাপে দীর্ঘ লকডাউন তুলে নিচ্ছে। স্কুল খুলেছে, কাজ শুরু হয়েছে অফিসে, গণপরিবহণ ব্যবস্থাও চালু হয়েছে।
তবে লোকজন ঘরের বাইরে এসে করোনার আগের সেই পরিবেশ ফিরে পাচ্ছেন না। কারণ এখন পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে লকডাউন পরবর্তী নতুন জীবন চালাতে হচ্ছে ইউরোপবাসীকে।
চীনের উহানে মারণলীলা চালানোর মধ্যেই ইউরোপীয় দেশ ইতালিকে পুরোটাই বিপর্যস্ত করে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। প্রতিবেশি স্পেনকেও ধুঁকতে হয়েছে অনেক। দুই দেশকেই দিনের পর দিন কেবল লাশের সারি গুণতে হয়েছে। তবে এখন ধীরে ধীরে মহামারির প্রকোপ কমে আসছে ইউরোপে। স্পেন, ইতালি, ব্রিটেনে নতুন করে বড় কোনও দুঃসংবাদ নেই।
দীর্ঘ লকডাউনের পরে দরজা খুলছে এই মহাদেশের একাধিক দেশ। স্কুল খুলেছে, কাজ শুরু হয়েছে অফিসে, গণপরিবহণ ব্যবস্থাও চালু হয়েছে। তবে আগের সেই পরিবেশ আর নেই। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে লকডাউন পরবর্তী নতুন জীবন চলছে দেশগুলিতে।
বিশ্বে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা সংখ্যা অর্ধ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। শুরুর দিকে লাগাম ধরা গেলেও রাশিয়াতে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে তিন লাখ। তবে দেশটিতে মৃত্যুহার অনেকটাই কম। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ২ হাজার ৯৭২ জনের।
এদিকে এবার আফ্রিকায় করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে বলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিয়ো গুতেরেস। তার ভাষ্য, কেবল করোনার জেরে এই মহাদেশটির লাখ লাখ মানুষ ভয়ানক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বেন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে আফ্রিকার প্রায় সব দেশেই ঢুকে পড়েছে করোনাভাইরাস। গুটি গুটি পায়ে মৃত্যু ছাড়িয়ে গেছে আড়াই হাজারের বেশি। তবে এটা সবে শুরু বলেই সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
(ঢাকাটাইমস/২২মে/ডিএম)