ফেসবুকে এগিয়ে সাকিব, ইউটিউবে তামিম

প্রকাশ | ২২ মে ২০২০, ১২:০৫ | আপডেট: ২২ মে ২০২০, ১২:৩৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয়দ্বয় সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। পৃথকভাবে দুজনের জনপ্রিয়তা খুঁজতে গেলে বিপাকে পড়তেই হবে। তবে জনপ্রিয়তার পাল্লা কার ভারি- বিষয়টা সহজ করে দিল ফেসবুক ও ইউটিউব। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যার যতবেশি ফলোয়ার বা অনুসরণকারী, তাকেই জনপ্রিয় মনে করা হয়। সেদিক থেকে ফেসবুকে এগিয়ে সাকিব, ইউটিউবে তামিম।

যদিও বাস্তবিক অর্থে জনপ্রিয়তা পরিমাপের নিয়ামক ফেসবুক, ইউটিউব হতে পারে না। কেননা ক্রিকেটারদের অসংখ্য পাড় ভক্ত আছেন যাদের নেট দুনিয়ায় তেমন বিচরণ নেই।

ফেসবুকে সাকিবের ফলোয়ার বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১১ মিলিয়ন। তামিমের মোটে ২.৬ মিলিয়ন। মুশফিক (৯.৫), মাশরাফী (৮.৪), মোস্তাফিজের (৬.৩) চেয়ে অনেক কম। তবে ইউটিউবে অনেক এগিয়ে তামিম। এই প্ল্যাটফর্মে সতীর্থদের অগ্রদূতও বলা যায় তাকে।

তামিম-সাকিব নিজেদের নামে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন এ মাসেই। করোনাকালে দেশ-বিদেশের সাবেক ও বর্তমান তারকাদের নিয়ে ফেসবুকে তামিমের লাইভ শো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্রিকেটভক্ত, সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার, এমনকি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও তামিমের অনুষ্ঠানের নিয়মিত দর্শক।

ফেসবুকে প্রচারিত অনুষ্ঠান তামিম পোস্ট করছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। তাতে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে সাবসক্রাইবার। চ্যানেলটির বয়স দুই সপ্তাহ হলেও সাবসক্রাইব করেছেন ৬৬ হাজার মানুষ। এই সময়ে তামিম পোস্ট করেছেন ১১টি ভিডিও। যার মধ্যে আছে লাইভ আড্ডার ৯টি পর্ব।

তামিমের এক সপ্তাহ পর ইউটিউব দুনিয়ায় প্রবেশ করেন সাকিব। এ অলরাউন্ডার নিজের চ্যানেলের কনটেন্ট একদমই ব্যক্তিগত রেখেছেন। পোস্ট করেছেন মাত্র একটি ভিডিও। নিজের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেই। সাকিবের চ্যানেলটি এখন পর্যন্ত সাবসক্রাইব করেছে ১৫ হাজারের কিছু বেশি মানুষ।

সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই পোস্টার বয়। নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বিকেএসপিতে অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ক্যাম্পে তামিমের সঙ্গে প্রথম দেখা সাকিবের। অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দলেও খেলেছেন একসঙ্গে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় দলে সতীর্থ তারা। দেশের হয়ে ব্যাট হাতে অবদান রাখায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বীও!

দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে হাঁটছেন তামিম-সাকিব। মাইলফলক ছুঁতে এবং একে অপরকে টপকাতে চলে প্রতিযোগিতা। অবশ্য ২২ গজে নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে পড়েছে সাময়িক বিরতি। সাকিব ক্রিকেট থেকে একবছর নিষিদ্ধ থাকায় তামিম রান করার দিক থেকে তিন সংস্করণেই পেছনে ফেলেছেন সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলে হয়ত স্বাস্থ্যকর এ লড়াই আবারও জমবে।

(ঢাকাটাইমস/২২ মে/এআইএ)