দেড় মাসে ২০৪ মৃতদেহ দাফন করেছে কোয়ান্টাম

প্রকাশ | ২২ মে ২০২০, ১৭:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন সারাদেশে এমন দুই শতাধিক মরদেহ দাফন ও সৎকার করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। গত ৭ এপ্রিল থেকে দাফন কার্যক্রম শুরু করেছে কোয়ান্টাম, ২১ মে পর্যন্ত  সারাদেশে ২০৪ জনের মৃতদেহ দাফন ও সৎকার করেছে সংস্থাটি।  এর মধ্যে ঢাকায় ১৭১ জন ও বাকিরা রাজশাহী, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। রাজধানীর বাইরে সারাদেশকে ১৮টি জোনে ভাগ করে চলছে কোয়ন্টাম ফাউন্ডেশনের দাফন কার্যক্রম।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোয়ান্টামের তিন শতাধিক নিবেদিত প্রাণ স্বেচ্ছাসেবক দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এ সেবা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। করোনা আতঙ্কে  যখন পরিবারের সদস্যরা যখন লাশ ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন বা ভয়ে আতঙ্কে দূরে থাকছেন; তখন মরদেহের শেষ বিদায় জানাতে মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে এগিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটির একদল স্বেচ্ছাসেবক।

শুধু মুসলিমই নয়; সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্যেও রয়েছে কোয়ন্টামের বিশেষ দল। এছাড়া মহিলাদের দাফনে সহযোগিতা করছে ১২ জনের একটি মহিলা দল।

শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনী, আনসার সদস্য, সচিব, সাংবাদিক, ব্যাংকার, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা পেশার মানুষকে দাফন ও সৎকার করেছে কোয়ান্টাম। 

জানা যায়, একটি দাফন প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩০ রকমের উপকরণ ব্যবহার করে কোয়ান্টাম। দাফন কাজে সুরক্ষার জন্যে ব্যবহার করা হয় অ্যালকোহলসহ কয়েক ধরনের জীবাণুনাশক।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী এ দাফন কার্যক্রম চলছে। কার্যক্রমের পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, সেফটি গ্লাস, ফেস শিল্ড, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, হেভি গ্লাভস, নেক কভার, মরদেহের কাফনের কাপড়, মরদেহ বহনের জন্যে বিশেষ বডি ব্যাগসহ সুরক্ষার জন্যে কয়েক ধরনের জীবাণুনাশক- পুরোটাই কোয়ান্টামের স্ব-অর্থায়নে স্বেচ্ছাসেবায় পরিচালিত হচ্ছে।

কোয়ান্টাম দাফন কার্যক্রমের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ছালেহ আহমেদ ঢাকাটাইামসকে বলেন, করোনায় মারা গেলেও মৃতদের জানাজা পড়ানো হয় সাধারণ মরদেহের মতো যথাযথ সম্মানের সাথে। কবরস্থ করার পর মৃতের জন্যে আন্তরিক দোয়া করা হয়।  একজন মানুষ মারা গেলে পরিবারের মানুষ কাছে থাকবে না, আত্মীয়রা জানাজায় আসবে না- এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়।  করোনার এই সময়ে স্বজনহীন সেইসব মৃতকে শেষ সম্মান জানানোর মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই এ সেবাকাজে নেমেছি।  দেশের এই দুর্যোগে শেষ পর্যন্ত আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যেতে চাই।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এএ/জেবি)