করোনাকালে বিয়ে ও অপচয় রোধ

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ১০:১৪

আবু বকর সিদ্দিক

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক জায়গায় বিয়ে-শাদী হয়েছে। এই বিয়ে-শাদির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর যেটা মনে হয়েছে সবাই নীরবে ঢাকঢোল না পিটিয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে-শাদী সম্পন্ন করছেন। আমরা এমন একটা সমাজব্যবস্থায় এসে পৌঁছেছি যে, এখানে বিয়ের অনুষ্ঠানের নাম করে নানা রকম অশ্লীল অনুষ্ঠান পর্যন্ত হয়ে থাকে।

আমাদের এখানে অনেক ধার্মিক পরিবার থেকে শুরু করে ধর্ম মানেন না কিংবা ধর্ম এড়িয়ে চলেন এমন অনেক পরিবার ও বিয়ের নামে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যা ইসলাম ধর্ম কখনোই সাপোর্ট করে না।

আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দোষারোপ করছি না কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ,নানা রকম অনুষ্ঠান না করলে মানুষ ভাবে এটা আবার কিসে বিয়ে-শাদী হলো! অথচ ইসলামে কত সুন্দর করে নীরবে খেজুর খেয়েই বিয়ে করার বিধান আছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা হয়তো বা মানুষের জনসমাগম এড়িয়ে চলছি। কিন্তু করোনা শেষ হয়ে গেলে আমাদের সেই তো আবার বিয়ের নামে নানা রকম আজাইরা অনুষ্ঠানের তামাশা শুরু হয়ে যাবে এটা নিশ্চিত। এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক ধনী ফ্যামিলির ছেলে মেয়ে দেখলাম খুব নিরবে পারিবারিক আয়োজনে সুন্দর করেই বিয়ে শাদী সম্পন্ন করেছেন।

করোনা চলে গেলেও আমাদের মধ্যে অন্তত এই টেন্ডেন্সি যেন বজায় থাকে।আমাদের এইসব বিয়ে-শাদির নাম করে ফালতু আজাইরা অনুষ্ঠানের কোনো বিধান কোথাও নাই। আমরাই ধর্মের তোয়াক্কা না করে বিয়ে-শাদীকে একটা বিশাল অনুষ্ঠান এবং আয়োজনের বিষয়ে বানিয়ে ফেলেছি। আধতে এমনটা হওয়া কখনোই উচিত ছিল না।

বিয়েকে ইসলামে হাফ অফ দ্বীন বলা হয়েছে। বিয়ে কখনোই বিশাল আয়োজন করে অনুষ্ঠান করার মতো বিষয় ছিলো না। আসুন আমরা আমাদের ধর্মকে অন্তত সব সময় সব ক্ষেত্রে মানার চেষ্টা করি।

শুধুমাত্র করোনার কারণে যে আমরা ধর্ম মেনে চলছি বিষয়টা যেনো এমন না হয়। আমাদের চিন্তা চেতনার এবং মন মানসের উন্নতি সাধিত হউক। বিয়াশাদী'র ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অনুষ্ঠান এবং শো অফ যেনো আমরা এড়িয়ে চলি।

লেখক: শিক্ষার্থী ও প্রাবন্ধিক

ঢাকাটাইমস/২৩মে/এসকেএস