ঘরবন্দি অবস্থায় সন্তানকে সামলাবেন যেভাবে

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ১০:৩৫ | আপডেট: ২৩ মে ২০২০, ১৬:৩৭

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

সাধারণ সময়ে সন্তান স্কুল, খেলার মাঠ, কোচিং ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বাড়িতে থাকার সময়েও নানা কাজে ব্যস্ত থাকে সে। অল্প যে সময় সে পায় তা কাটাতে খুবে বেশি ঝামেলা হয় না। কিন্তু সেই সমস্যা প্রকট হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি অবস্থায়।

সারাক্ষণ বাড়িতে থাকায় এবং অন্য কোনো কাজ না থাকায় বিরক্ত হচ্ছে তারা। রাগারাগি করছে। নষ্ট হচ্ছে বাড়ির পরিবেশ। একারণে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সন্তানকে সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেককে।  তবে সন্তানকে একটু বুঝলে এই সব সমস্যার সমাধান একেবারেই অসম্ভব নয়।  প্রয়োজনে নিজের ব্যবহারে পরিবর্তন আনুন।

# যা করবেন, তার বেশ কিছুটা সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে করুন। তার মতামত অগ্রাহ্য করে নিজের মত চাপালে হবে না সব সময়।

# দু’জনে কথা বলে মোটামুটি একটা রুটিন ঠিক করে নিন। কতক্ষণ সে পড়বে, কতক্ষণ টিভি দেখবে, কতক্ষণ গেম খেলবে আর কতক্ষণই বা আপনার কাজে সাহায্য করবে। একই ভাবে ঘুমতে যাওয়া, সকালে ওঠা, হালকা ব্যায়াম ও কোনও শখের চর্চা কখন কত ক্ষণ ধরে করবে সে, তার একটা রূপরেখা ঠিক করে নিন। খেয়াল রাখুন সে রুটিন কতটা মানছে। অনিয়ম করলে দিনের শেষে মনে করান। এতে অশান্তি কমবে, সে নিজের দায়িত্বও নিতে শিখবে। শিখবে নিয়মানুবর্তিতা। সব সময় বকাবকি করলে যা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।

# সন্তান নিয়ম মানলে তাকে আনন্দ দেয় এমন কিছু উপহার দিন বা রেঁধে খাওয়ান।

# রুটিনের ব্যাপারটা যদি নতুন হয় তা হলে প্রথমে উৎসাহ ভরে রাজি হলেও পরে ঢিলেমি করবে সন্তান। ধৈর্য ধরুন। বকাঝকা না করে নিয়মিত মনে করিয়ে যান। একটা সময় ধাতে চলে আসবে।

# যেদিন পুরো নিয়ম মানবে বা অনিয়ম কম করবে, সে দিন ওর পছন্দের কোনো খাবার বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। বা পছন্দের কোনও গেম বা শো আধ ঘণ্টা বেশি খেলার বা দেখার সুযোগ দিতে পারেন। এটা যে তার নিয়ম মানার পুরষ্কার তা ভাল করে বুঝিয়ে দেবেন। অর্থাৎ সে যেন বোঝে নিয়ম মানলে পুরষ্কার ও না মানলে তিরষ্কার পাওয়াটাই নিয়ম।

# তার কোনো বিশেষ দাবিদাওয়া থাকলে আগেই তা নস্যাৎ করে না দিয়ে মন দিয়ে শুনুন সে কী বলতে চায়। ভেবে দেখুন, তাতে তার কোনও ক্ষতি হবে কি না। না হলে ১০টার মধ্যে ৫-৭টা মেনে নিন। তা হলে যেগুলি মানলেন না তা নিয়ে তার অভিযোগ থাকবে না।

# অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। তারই কোনও বন্ধু বা পড়শি কত ভাল করে পড়ছে বা ঘরের কাজে সাহায্য করছে আর সে কিছু করছে না, এ সব বলে লাভ তো কিছু হবেই না, বরং অশান্তি বাড়বে।

আপনি হয়তো ভাবেন, আপনি টেনশনে আছেন আর সন্তান আছে দিব্যি। তা কিন্তু নয়। সেও নানা উদ্বেগে আছে। কবে স্কুল খুলবে, কবে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হবে, কবে বন্দি দশা ঘুচবে ইত্যাদি নিয়ে তারও মনে খুব অশান্তি। কাজেই সারা ক্ষণ শাসন করে তার ঘরে থাকাটা অসহনীয় করে তুলবেন না।

ঢাকা টাইমস/২৩মে/একে