দিনাজপুরে মানবতার ফেরিওয়ালা অ্যাডভোকেট রবি

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ২৩:৫৬ | আপডেট: ২৪ মে ২০২০, ১৬:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট সংকটে মানবতার সেবায় অবিরাম ছুটে চলেছেন দিনাজপুরের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি। অসহায়দের মুখে খাবার দিতে প্রতিনিয়িত ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। যেনো এ এক মানবতার ফেরিওয়ালা।

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের থাবায় থমকে গেছে বিশ্ব। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম লকডাউন। রয়েছে ঘরে থাকার অনুরোধ। প্রয়োজনে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও একই চিত্র। এই সংকট মুহূর্তে মানবতার সেবায় ছুটে চলেছেন রবিউল ইসলাম।

দিনাজপুর বিরল উপজেলার কৃতিসন্তান এই অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি দিনাজপুরের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং দিনাজপুর জেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান। রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর স্নেহভাজন রবি। খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নির্দেশেই তিনি এই মানববতার কাজ দূঢ়তার সঙ্গে করছেন বলেও জানিয়েছেন।

রবি শনিবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালত চত্বরে তারই কার্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে গিয়ে দিনাজপুর আদালতের নবীন আইনজীবী ও আইনজীবীদের সহকারীরাও কর্মহীন হয়ে পড়েন। আদালত বন্ধ হওয়ায় আদালত চত্বরের কম্পিউটার কম্পোজের ব্যবসায়ীসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উপার্জন বন্ধ হয়ে যায় সবার। তাই তারা পড়ে চরম খাদ্য সংকটে। তাদের কথা চিন্তা করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় ও দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেকমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের পরামর্শে রবি এই মানবতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার সহায়তা বিতরণের সময় স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সামসুর রহমান পারভেজসহ নবীন আইনজীবী, আইনজীবিদের সহকারী এবং কম্পোজ কম্পিউটারের দোকান মালিকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শুধু দিনাজপুর আদালত পাড়া নিয়েই তিনি ব্যস্ত নন। ব্যস্ত বিরল উপজেলা নিয়েও। তিনি সেই উপজেলা এবং সদর উপজেলার কিছু অংশের দায়িত্বে, দিনাজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। সেই সূত্রধরে জেলা পরিষদের নির্বাচিত ভাইস-চেয়ারম্যানও। তাই এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে সঙ্গী হয়ে আছেন তিনি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ ও ঈদ উপহার বিতরণ করছেন তিনি।

এই বিষয়ে জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিলেন দেশের নায়করা। তাহলে আমরা কেন পারব না দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলোর মুখে একটু হাসি ফুটাতে। অসহায় মানুষগুলো সামান্য উপহার পেয়ে অপূর্ব হাসি দেখা যায় তাদের মুখে। এই হাসিটি ধরে রাখার জন্য যদি সামর্থ্য অনুযায়ী এদের পাশে দাঁড়াই তাহলে মানুষ হিসেবে নিজেকে সার্থক মনে করা যায়।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে মানবতার সেবায় যতটুকু পারছি নিজেদের সুরক্ষা বজায় রেখে মানবকল্যাণে কাজ করছি। মানবতার সেবায় কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে। আর মানুষের জন্য কাজ করে অন্যরকম তৃপ্তি খুঁজে পাই। করোনার এই পরিস্থিতিতে বাইরে থাকি বলে পরিবার অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে। এর মাঝেও মানুষের জন্য কাজ করছি। দেশ ও পরিবার বাঁচাতে সবার প্রতি অনুরোধ আপনারা ঘরে থাকুন।

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/কেএম)