বাউফলে তোরণ নির্মাণ নিয়ে আ.লীগের সংঘর্ষ, আহত ১০

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০২০, ১৯:৫৯

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও পটুয়াখালী জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল বাউফল) ফারুক হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার দুপুরে উপজেলার বাউফল থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাউফল পৌর শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সূত্রে জানা গেছে, বাউফল থানার সামনের ব্রিজের ঢালে ডাকবাংলোর কাছে প্রতি বছর আ স ম ফিরোজ সমর্থিত নেতাকর্মীরা দীর্ঘ বছর ধরে বিশেষ দিন উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করে আসছে। পূর্বের নির্মাণ করা একটি তোরণ সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঝড় আম্পানে উপড়ে পড়ে। এ সুযোগে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থিত কর্মীরা ওই স্থানে তোরণ নির্মাণ করার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে আ স ম ফিারোজ সমর্থিত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল পৌঁছে ইব্রাহিম ফারুকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে মেয়র গ্রুপের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের সাথের কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে চিফ হুইপ গ্রুপের জসিম (৩৪), শামিম (২৫), পৌর যুবলীগ সভাপতি মামুন খান (৪৭), ইয়ার খান (৪৩) আহত হণ্

এ খবর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে চিফ হুইপ সমর্থিত উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন মোল্লা তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উভয় গ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় চিফ হুইপ সমর্থিত কর্মী তাপস দাস (৩৪), ইমাম হোসেন (২৩) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থলে চিফ হুইপ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন উভয় গ্রুপের নেতাদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাজিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক বলেন, থানা ডাকবাংলোর সামনে সেতুর মুখে তারাই তোরণ নির্মাণ করে আসছেন। আর পৌর মেয়রের তোরণ থানার পশ্চিম পাশে করে আসছে। তাহলে হঠাৎ করে কেন তারা কোন কারণে আমাদের স্থানে তোরণ নির্মাণ করতে এলো। তা জিজ্ঞাসা করতেই মেয়র সমর্থিত নেতাকর্মীরা তার সাথের কর্মীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে।

পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, সে করোনাভাইরাসের উপর সচেতনতামূলক একটি সৌজন্য তোরণ করতে গেলে চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ও তার লোকজন এতে বাধা দেয়। এ বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা চলছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন তাকে ও চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুককে নিয়ে থানায় আলোচনার জন্য বসেন। পরে বের হয়ে দেখেন চেয়ারম্যান সমর্থিত লোকজন তার দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে আহত করেছে।

পটুয়াখালী জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল বাউফল) মো. ফারুক হোসেন বলেন, পৌর মেয়র ও চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুককে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে দু পক্ষ তোরণ করবে- তবে দূরত্ব করে। এরই মধ্যে ফের দুই পক্ষ সংঘর্ষ হওয়ার খবর পেয়ে তা এড়াতে উভয় গ্রুপকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :