কারাগারে বন্দিদের যেমন কাটছে ঈদ

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২০, ১২:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কারাগারের ঈদেও পড়েছে করোনার প্রভাব। এবার কোনো কারাগারেই খোলা জায়গায় ঈদের জামাত হয়নি। কারাবন্দিদের জন্য ঈদে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নেই। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সকল কারাগারে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কারা অধিদপ্তরের হিসাব মতে সারাদেশে ৭৫ হাজার ৬১৭ জন বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ বন্দি ৭২ হাজার ৬৩৯ জন আর মহিলা বন্দি দুই হাজার ৯৭৮ জন। মোট হাজতি রয়েছে ৬০ হাজার ৯৯৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ বন্দি ৫৮ হাজার ৫৭৪ জন আর মহিলা বন্দি দুই হাজার ৪২১ জন। কয়েদি রয়েছেন ১২ হাজার ৬৩১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ১২ হাজার ১২৬ জন আর মহিলা রয়েছেন ৫০৫ জন।

সারাদেশে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন এক হাজার ৮৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ রয়েছে এক হাজার ৮৫০ জন আর মহিলা ৪৮ জন। বিদেশি বন্দি রয়েছে ৫৬২ জন। এদের মধ্যে হাজতি ৪১২ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩৯৮ জন আর মহিলা ১৪ জন। কয়েদি ৫৭ জন।

এছাড়া আরপি বন্দি রয়েছে ৯৩ জন। পুরুষ ৮৯ জন আর মহিলা চারজন। মায়ের সাথে শিশু রয়েছে ৩৬৭ জন। এদের মধ্যে ছেলে ১৬৫ জন আর মেয়ে ২০২ জন। সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য ৭৮৯ জন। জঙ্গি রয়েছেন ৭৮২ জন। এর মধ্যে জেএমবি ৫০০ জন এবং অন্যান্য ২৮২ জন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রায় আট হাজার সাতশ জন বন্দি রয়েছেন। তাদেরকে সকাল বেলায় সেমাই আর মুড়ি নাস্তা খেতে দেওয়া হয়। দুপুরে তারা খাবার পাবেন পোলাও, গরু বা খাশির মাংস, সালাদ, একটি করে মিষ্টি পান সুপারি, রাতে তারা খাবার পাবেন সাদাভাতা, রুই মাছ, আলুরদম।

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই দেশের সকল কারাগারে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। তবুও কারাগারে একজন বন্দির করোনা সংক্রমণের তথ্য মিলেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। বাইরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে স্বজনদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এবার করোনার মধ্যে সারা দেশেই ঈদের আনন্দে ছড়িয়েছে বিষাদ। মানুষ ঘরে থেকে উদযাপন করছে মুসলমানদের বড় এই উৎসব। এবার ঈদের জামাত কোনো ঈদগাহে হয়নি। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আদায় করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এএ/এইচএফ)