ছাগল সমাচার

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২০, ১৩:২৭

সজল মাহমুদ
সজল মাহমুদ

বছর চারেক আগে ছাগলের ওপর গবেষণা করেছেন লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়। যার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটির জার্নাল বায়োলজি লেটার্স-এ। ওই প্রতিবেদন ছাগলকে মানুষের নতুন সেরা বন্ধু হিসেবে দাবি করেছেন গবেষকরা।

তবে ওই গবেষণাকে ভুল প্রমাণিত করে মানুষ থেকে ছাগলে রূপান্তরিত হচ্ছেন কিছু বাঙালি। যারা প্রমাণ ও মেলে সাম্প্রতিক ঘটনা বিশ্লেষণ করলে। এই ছাগলরা দুই দলে বিভক্ত। এরমধ্যে প্রথমদল সরকারি ছাগল আইমিন সরকারের কিছু কর্তা। যেমন( কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি) আর অন্যদল হলো বেসরকারি ছাগল অর্থাৎ আমজনতা।

চলতি সময়ে সরকারি ছাগলদের ছাগলামি হলো পুরস্কার দিয়ে প্রত্যাহার করা। চুল বড় হলে ছেঁটে দেওয়া। আর বেসরকারি ছাগলদের ছাগলামির হিসেব নেই। এরমধ্যে সম্প্রতি গভীর রাতে থানকুনি পাতা খেলে করোনা হবে না। এরকম ওষুধ আবিষ্কার করে ফেসবুকে হইচই ফেলেছেন বেসরকারি ছাগলারা।

যদি ও দুনিয়ার তাবৎ বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত এ রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এ রোগের প্রতিষেধক তৈরি করতে আরে দেড় বছরের মতো সময় লাগবে। কিন্তু ওতো সময় কই ছাগলদের। ম্যাঅ্যাঅ্যা ম্যাঅ্যাঅ্যা করতে করতে রাতেই করোনার ওষুধ বানিয়ে ফেলছেন তারা। শুধু নিজে খেয়েই শান্ত থাকে নি। সব ছাগল যাতে পায় তার জন্য একটি পাতা ২০ টাকা কোথা ও কোথাও আর বেশিতে বিক্রি করেছেন।

সত্যিই এসব ছাগলামি প্রশংসনীয়!! ভাবা যায় ছাগলদের কত মেধা!!! তাই নোবেল কমিটির প্রতি জোর দাবি চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ছাগলদের নোবেল দিয়ে ছাগলামির স্বীকৃতি দেয়া হোক।এ ছাগলরা শুধু জমিনের থানকুনিতেই থামে নি। জাবর কেটেছে মহাকাশ নিয়েও।

বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বেশ কিছু জায়গায় সূর্যের চারপাশে একটি রিং বা আলোর বৃত্ত দেখা যায়। তার ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েই ছাগলদের ম্যাঅ্যাঅ্যা ম্যাঅ্যাঅ্যা এটি কেয়ামতের আলামত। আর সূর্যের এই অবস্থার হ্যালো নাম দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট বলছে, সূর্য বা চাঁদের এই বলয় ২২ ডিগ্রি হ্যালো (halo) নামে পরিচিত।বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ছোট ছোট বরফকণা রয়েছে। সূর্যের আলো স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছানোর পর বরফে পড়ে তা প্রতিসরণ হয়।যার কারণে কখন ও কখন ও দেখা যায় এরকম বৃত্তের।

এনিওয়ে পৃথিবীতে ছাগলের মর্যাদা যদি কেউ দিয়ে থাকেন, তিনি মহাত্মা গান্ধী। তাই গুজরাটি গান্ধীজির পর আমাদের ও ভাবা উচিত এসব ছাগলদের আমরা কতটা গুরুত্বদিবো?

পরিশেষে বলতে চাই ছাগল সব সমাজেই আছে। তবে যে সমাজে ছাগলের সংখ্যা যত কম, সে সমাজই সবচেয়ে ভালো। আসলে ছাগলামি বা ছাগলত্ব নয়, মানুষের জন্য মেধাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 

লেখক: সাংবাদিক, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন

ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসকেএস