মাগুরায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২০, ২০:৫৯

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পূর্ব রাজনৈতিক বিরোধ ও মসজিদে ঈদের জামাতের টাকা তোলার বিরোধ নিয়ে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শলইনগর ও খর্দরহুয়া গ্রামে সোমবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। এসময় স্থানীয় শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হোসেন মোল্যার বাড়িসহ অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।

খর্দরহুয়া গ্রামের আবু সালেহসহ অন্যরা জানান, সকাল ৯টায় খর্দরহুয়া মসজিদে ঈদের নামাজের সময় মসজিদের উন্নয়নের টাকা তোলা হচ্ছিল। এসময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বক্কার মোল্যা ও নুরুল শেখ নামে স্থানীয় দু’গ্রাম্য মাতবরের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে নামাজের পরপরই উভয় গ্রুপই সংঘর্ষে জড়িযে পড়ে। এসময় গ্রামের ওসমান মিয়া (৩৫), নুরুল শেখ (৫০), সোহাগ (১৬), জুয়েল (২৮), ইউনুছ (৩৫), হারেজ শেখ (৬০), সুফিয়াসহ (১৪) অন্তত ১০ জন আহত হয়। এছাড়া শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হোসেন মোল্যার বাড়িসহ শলইনগর ও খর্দরহুয়া অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট হয়।

এলাকাবাসী আরো জানান, মসজিদে হাতাহাতিতে অংশ নেয়া গ্রাম্য মাতবর বক্কার মোল্যা স্থানীয় শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের সমর্থক। অন্যদিকে নুরুল শেখ শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হোসেন মোল্যার সমর্থক। স্থানীয় রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নিয়ে উভয় সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে।

তবে ঘটনার বিষয়ে উল্লিখিত দুই নেতা মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম ও আমির হোসেন মোল্যা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। এটিকে শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম ও তার সমর্থকদের পূর্ব পরিকল্পিত হামলা দাবি করেছেন শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমির হোসেন মোল্যা।

আমির হোসেন মোল্যা বলেন,পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান সংগ্রাম ও তার লোকজান প্রথমে আমার সমর্থক নুরুল শেখসহ অন্যদের ঈদের নামাজ চলাকালে মসজিদের ভেতরেই জখম করে। পরে মহূর্তের মধ্যে অন্য গ্রামের কয়েকশত লোকজন এনে আমাদের ওপর পুনরায় হামলার পাশাপাশি বাড়িঘরে লুটাপট করে। আমি কিংবা আমার সমর্থকরা কোন সংঘর্ষে জড়ায়নি। বরং অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছি। এটি সংগ্রাম চেয়ারম্যানের পুর্ব পরিকল্পিত হামলাই যদি না হবে, তাহলে ঈদের দিন মুহূর্তে এত লোক এনে হামলা চালানো কীভাবে সম্ভব হলো।

এ বিষয়ে শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম বলেন,এটি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে গ্রাম্য দুই মাতবরের বিরোধ। এখানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দু’পক্ষকে নিবৃত্ত করেছি। আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শ্রীপুর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন,সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরে সহিংসতা এড়াতে এলাকায় সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এলএ)