মাস্ক পরে ব্যায়াম ও গাড়ি চালনায় সাবধান

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২০, ০৮:২৭ | আপডেট: ২৬ মে ২০২০, ১৭:৩১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মাস্ক এক বড়  সহায়। এই সময় তাই আমাদের প্রায় সব সময় নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরতে হয়। বিশেষ করে বাইরে গেলে কিংবা কর্মস্থলে। কিন্তু জানেন কি এন-৯৫-এর আঁটসাঁট মাস্ক পরে শরীরচর্চা বা জগিং, ভারি কাজ করা কিংবা গাড়ি চালানো শরীরের জন্য বিরাট ঝুঁকির ব্যাপার।

সংবাদমাধ্যমের তথ্য, সম্প্রতি এক চীনা তরুণ মাস্ক পরে আড়াই মাইলের মতো দৌড়ানোর পর হঠাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করে তোলা হয় তাকে। চীনেরই একটি স্কুলে মাস্ক পরে মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার সময় তিন স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়।

কেন এমনটা হচ্ছে? চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যায়ামের সময় মাস্ক পরলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভারি কাজের সময়ও তা-ই। তাহলে কি মাস্ক পরব না আমরা?

করোনাভাইরাস আটকাতে তথা নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিশ্চয়ই মাস্ক পরতে হবে আমাদের। তবে ফাঁকা জায়গায় একা ভারী কাজকর্ম বা শরীরচর্চা করার সময় মাস্ক না পরাই ভালো বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

আর যখন একাধিক মানুষের পাশাপাশি ব্যায়াম করবেন, তখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে মাস্ক পরার দরকার নেই।

যাদের ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি আছে, হাঁপানির সমস্যা কিংবা আইএলডির মতো ক্রনিক ফুসফুসের অসুখ আছে তারা শরীরচর্চা ও ভারী কাজের সময় মাস্ক পরে থাকলে যেকোনো সময় ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে।

গাড়ি চালানোর সময় চালকদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এন-৯৫ বা টাইট মাস্ক পরে গাড়ি চালানোর সময়ও নানা সমস্যা হতে পারে। মাস্কের কারণে শরীরে এক দিকে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্ক কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সতর্কতা ও ক্ষিপ্রতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার অনেক সময় মাস্ক থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাস্প বেরিয়ে চশমার কাঁচ ঝাপসা করে দিতে পারে, তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে গাড়িতে অন্য কেউ থাকলে মাস্ক পরতে হবে। তখন অধিকতর সাবধানে চালাতে হবে গাড়ি।

ফাঁকা রাস্তায় একা গাড়ি, সাইকেল বা বাইক চালানোর সময় মাস্ক না পরলেও চলে। কারণ এই অসুখের ভাইরাস বাতাসে ভেসে বেড়ায় এমন কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।

তবে এসব ক্ষেত্রে এন-৯৫ বা আঁটসাঁট মাস্ক না পরে সাধারণ মাস্ক পরা যেতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, মর্নিং ওয়াক কিংবা অন্যান্য পরিশ্রমসাধ্য কাজের সময় সাধারণ মাস্ক পরে থাকলে কোনো অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তবে যদি কারও ফুসফুসের ক্রনিক অসুখ থাকে, তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/মোআ)