কান্না থামাতে পারছেন না শুভশ্রী

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২০, ১০:৪৯ | আপডেট: ২৬ মে ২০২০, ১৯:৪৯

বিনোদন ডেস্ক

ভয়াবহ সাইক্লোন আম্পনের দাপটে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ যেন ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে। কলকাতাকে এমন রূপে দেখতে হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি কেউ। ধুয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও গাছ। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষ ও অসংখ্য পশু পাখির। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজারো পরিবার।

রাজ্যের এমন অবস্থা দেখে ভেঙে পড়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। কিছুদিন আগেই নায়িকা জানান যে, তিনি মা হতে চলেছেন। তার মধ্যেই ঘটে গেছে এমন বিপর্যয়। তাই গর্ভস্থ সন্তানের জন্য কলম ধরলেন অভিনেত্রী। সেটি পড়ে শোনালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ইনস্টাগ্রামে শুভশ্রী লিখেছেন, ‘মনটা বড্ড খারাপ। সারাক্ষণ চেষ্টা করছি মনটাকে ঠিক রাখার, কিছুতেই পারছি না। সবাই বলে প্রেগনেন্ট হলে হাসিখুশি থাকতে হয়, কী করে থাকব বল তো! তোর কথা ভেবেই সব ভোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু এত ধ্বংসস্তূপ আগে কখনো দেখিনি। কান্না থামাতে পারছি না। নিজের মনটাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, না না এখন মন খারাপ করলে চলে না! ভাবছি তুই কী ভাববি! কিন্তু নিজেকে আটকে রাখতে পারছি না।

আম্পনের তান্ডবে পড়ে গেছে অজস্র গাছ। এই কলকাতা যেন খুব অচেনা। তাই সন্তানের উদ্দেশে শুভশ্রী লিখেছেন, ‘তোকে গল্ফগ্রীন, সাউদার্ন এভিনিউ, ময়দানের সবুজ দৃশ্যগুলো আর দেখানো হল না। সেই বড় বড় গাছগুলো, সেগুলো তো শুধু গাছ ছিল না, ছিল হাজার হাজার পাখির বাসা। তুই দেখতে পারলি না।’

করোনার প্রভাবে ভারতজুড়ে লকডাউন চলছে। সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু আম্পনে বহু মানুষ ঘরই হারিয়ে ফেলেছেন। এ প্রসঙ্গে শুভশ্রী লিখেছেন, ‘৮২ হাজার ঘর ভেঙে গেছে ঝড়ে। কী করছে এখন সেই গৃহহারা মানুষগুলো? তার পরে করোনার প্রভাব তো বাড়ছেই। এমনিতেই কম অভাব ছিল না ওদের, এখন তো মুখে তোলার অন্নটুকুও নেই। আশ্রয় বলতে মাথার ছাদটুকুই ছিল, সেটাও উড়ে গেল।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি এই মুহূর্তে ভাইরাল। বুক পানি পেরিয়ে প্লেটে করে খাবার নিচ্ছে এক শিশু। চোখে ভিজিয়ে দেয়া সেই ছবি নিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আজকে সারাদিন একটা ছবি সোশাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে, বছর চারেকের একটা বাচ্চা বুক সমান পানি পেরিয়ে খাবার নিতে এসেছে ত্রাণ শিবিরে। এর পরেও তোর কথা ভেবে কী করে বেশি বেশি খাই বলতো? এই তো আর কিছু বছর পরে তুইও ওর সমানই হবি। ও তো তোর মতোই। কী দোষ করেছিল ও?’

শুভশ্রীর ধারণা, এই বছরটা হয়তো মানুষের কাছে প্রতিশোধ নিতে এসেছে। এতদিন প্রকৃতির উপরে মানবজাতির অত্যাচারের উত্তর দিচ্ছে প্রকৃতি। তবে নায়িকার বিশ্বাস, একদিন এই ধ্বংসের পরে সৃষ্টি শুরু হবে। রাতের পরে দিন আসবে। সব ঠিক হয়ে যাবে।’

ঢাকাটাইমস/২৬মে/এএইচ