প্রয়াত বলবীর সিংয়ের নামে স্টেডিয়াম

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২০, ১১:১১ | আপডেট: ২৬ মে ২০২০, ২০:১১

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল তিনবার অলিম্পিক সোনাজয়ী ভারতীয় হকির কিংবদন্তি বলবীর সিং সিনিয়রের। একইসঙ্গে পঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম অর্থাৎ মোহালি স্টেডিয়ামকে কিংবদন্তির নামে নামাঙ্কিত করার কথা ঘোষণা করলেন পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী রানা গুরমিত সিং সোধি।

টানা দু’সপ্তাহ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের ফিল্ড হকির সর্বকালের অন্যতম সেরা সেন্টার ফরোয়ার্ড বলবীর সিং সিনিয়র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। বলবীর সিং’য়ের তিন পুত্র এবং এক কন্যা বর্তমান। বিকেলে কিংবদন্তির অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করেন তাঁর পৌত্র কবীর। তিন ছেলে কনওয়ালবীর সিং, করনবীর সিং ও গুরবীর সিং কানাডায় বসবাস করলেও কন্যা সুশবীর ও পৌত্র কবীরের সঙ্গে ভারতেই শেষদিন অবধি ছিলেন বলবীর সিং সিনিয়র।

বলবীর সিং সিনিয়রের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী রানা গুরমিত সিং সোধি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘বলবীর সিং’য়ের মৃত্যু কেবল ক্রীড়া জগতের জন্য নয় বরং গোটা দেশের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি।’ সেখানেই মোহালি হকি স্টেডিয়ামকে হকির আইকনের নামে নামাঙ্কিত করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন হকি অধিনায়ক পরগত সিং।

সকালেই মোহালি ফর্টিস হাসপাতাল থেকে সেক্টর-৩৬ বাসভবনে নিয়ে আসা হয় প্রয়াত বলবীর সিং’য়ের বাসভবনে। সেখান থেকেই শববাহী যানে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ।

একাধিক শারীরীক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। দু’সপ্তাহ লড়াইয়ের পর পবিত্র ঈদের সকালে ৯৬ বছর বয়সে জীবনযুদ্ধে হার মানলেন কিংবদন্তি অলিম্পিয়ান বলবীর সিং সিনিয়র। শুধুমাত্র কিংবদন্তি বললে বোধহয় কম বলা হয়। ভারতীয় ক্রীড়াজগতের অন্যতম সেরা আইকন বলবীর সিংকে প্রয়াত মেজর ধ্যানচাঁদ কিংবা সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের সমগোত্রীয় বললে একেবারেই অত্যুক্তি করা হয় না। তাই ভারতীয় ফিল্ড হকির অন্যতম সেরা সেন্টার ফরোয়ার্ডকে হারিয়ে শোকার্ত দেশের ক্রীড়ামহল।

১৯৪৮ ব্রিটেনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অলিম্পিক ফাইনালে তাদেরকেই ৪-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত। ফিল্ড হকিতে স্বাধীন ভারতীয় দলের প্রথম সোনাজয়ী দলের সদস্য হওয়ার মুহূর্ত বলবীর সিং সিনিয়রের জীবনের সেরা মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হতে বাধ্য। সেখানেই শেষ নয়। এরপর ১৯৫২ হেলসিঙ্কি অলিম্পিক এবং ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকেও সোনাজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বলবীর সিং সিনিয়র।

১৯৫৬ দলের অধিনায়কত্বের ব্যাটন ছিল কিংবদন্তির কাঁধে। ১৯৫২ হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে ডাচদের বিরুদ্ধে স্বর্ণপদকের ম্যাচে একাই ৫ গোল এসেছিল বলবীর সিং’য়ের স্টিক থেকে। অলিম্পিক গোল্ড মেডেল ম্যাচে তাঁর করা সেই সর্বাধিক গোলের রেকর্ড ছয় দশক পরেও অক্ষত।

(ঢাকাটাইমস/২৬ মে/এআইএ)