জামালপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জফেরত ব্যক্তিসহ সোমবার আরো ১৩ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দাদি-নাতি, এক করোনাজয়ী ডিপ্লোমা চিকিৎসক, নারী স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই শিশু রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১৯৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া এবং নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রয়ণ কান্তি দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার জামালপুরের চার উপজেলায় ১৩ জনের করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের এবং ময়মনসিংহ পিসিআর ল্যাবে ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুজনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় পাঁচজন, ইসলামপুর উপজেলায় তিনজন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় একজন এবং জামালপুর সদর উপজেলায় চারজন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলায় পাঁচজনের মধ্যে সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাবাজার এলাকার এক ব্যক্তি (৪৫), মাইজাবাড়ি গ্রামে গাজীপুর থেকে আসা এক যুবক (২২), বলারদিয়ার গ্রামের একজন (৩৭) ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের এক নারী (৪২) এবং পোগলদিঘা ইউনিয়নের পোগলদিঘা গ্রামের এক ব্যক্তি (৩৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ইসলামপুর উপজেলায় তিনজনের মধ্যে ইসলামপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (৩৬), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের পোড়ারচর কমিউনিটি ক্লিনিকের একজন নারী স্বাস্থ্যকর্মীর (সিএইচসিপি) সাড়ে তিন বছর বয়সের এক ছেলেশিশু এবং ইসলামপুর পৌরসভার কিংজাল্লা গ্রামে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসা একজন ব্যবসায়ীর (২৮) করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সাত বছর বয়সের এক শিশু। সে এর আগে আক্রান্ত হয়ে করোনাজয়ী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের একজন ডিপ্লোমা চিকিৎসকের (স্যাকমো) ছেলে।

জামালপুর সদর উপজেলায় চারজনের মধ্যে ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের ৬০ বছর বয়সের এক নারী এবং তার এক নাতি (১৬), মেষ্টা ইউনিয়নের এক যুবক (২৫) এবং দিগপাইত ইউনিয়নের খুপিবাড়ী গ্রামে নায়রণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসা এক যুবকের (৩০) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, নতুন করে আক্রান্ত সরিষাবাড়ী উপজেলার একজন নারীসহ পাঁচজন, দেওয়ানগঞ্জের এক শিশু এবং জামালপুর সদরের চারজনের মধ্যে তিনজনকে প্রাতিষ্ঠানিক আইনোলেশন সেন্টারে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া জামালপুর সদরের একজন ও ইসলামপুরের ইউএনওসহ তিনজনকে তাদের বাসা-বাড়িতে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত এই ১৩ জনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনের থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং তাদের নমুনা সংগ্রহের করে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো কাজ চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এলএ)