রিয়াদের জন্য নিজের ব্যাটিং পজিশন ছেড়ে দিয়েছিলেন সুজন

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২০, ২১:৩০

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ দলের অনেক ক্রিকেটারেরই সাফল্যের পেছনে নীরব অবদান রেখেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্টের প্রধান এই সাবেক ক্রিকেটার নিজের খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই তরুণদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পরবর্তীতে জাতীয় দলে খেলেছেন। তাদের মধ্যে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অন্যতম।

পেশাদার ক্রিকেটের শুরুর সময়টায় রিয়াদকে আগলে রেখেছেন খালেদ মাহমুদ, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রিয়াদ দীর্ঘ দিন খেলেছেন তার অধীনে। জাতীয় দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন তার আজকের অবস্থানে আসার পেছনে বড় প্রভাব খালেদ মাহমুদ সুজনের। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজনও বলেছেন তার অধীনে খেলা ও পরামর্শে বেড়ে ওঠাদের মধ্যে রিয়াদই তাকে বেশি আনন্দিত করে।

তার সাথে বেড়ে ওঠা জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারতের মধ্যে পছন্দের তিনজন বেছে নিতে বললে সুজন জানান, ‘আমার সাথে ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছে এমনদের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ অবশ্যই। রিয়াদকে ছোট থেকে দেখেছি, আরাফাত সানিকে দেখেছি, দেখেছি মেহরাব হোসেন জুনিয়রকে।’

সাংবাদিক নোমান আহমেদের ‘নট আউট নোমান’ ইউটিউব চ্যানেলে ঈদ স্পেশাল লাইভে অতিথি হিসেবে ছিলেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন। খেলোয়াড় চেনার দারুণ এক ক্ষমতা আছে এই সাবেক ক্রিকেটারের মধ্যে। তার চোখেই ধরা পড়ে মুস্তাফিজ, তাসকিন, শান্ত, মিরাজদের মত তরুল ক্রিকেটাররা। তারও আগে খেলোয়াড়ি জীবনে মানসিক সমর্থন দিয়ে সামনে এগোনের পথ মসৃণ করেছেন অনেকেরই।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রিয়াদের জন্য নিজের ব্যাটিং অর্ডার পিছিয়ে নেওয়া বর্তমান সফল এই কোচ জানান রিয়াদ ভালো পারফর্ম করলে সমবসমই উপভোগ করে।

সুজন বলেন, ‘সুযোগ আসলে কেউ কাউকে করে দেয় না, ওরাই নিজেদের জায়গা নিজেরা তৈরি করে নিয়েছে। অবশ্যই কিছু জায়গায় সুপারিশ করতে হয়, নামগুলো তুলে ধরতে হয়। রিয়াদের কথা বলবো, ও যখন পারফর্ম করে অনেক খুশি হই। ওকে নিয়ে যখন মানুষ সমালোচনা করে তখন না শোনার চেষ্টা করি। আমার পছন্দের তালিকায় সবসময়ই রিয়াদ থাকবে।’

সুজন আরো বলেন, ‘রিয়াদকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমার জায়গা ছেড়ে দিয়েছি ব্যাটিং  করতে। আমি ৬ এ খেলতাম, তবে রিয়াদেকে ৬ এ দিয়ে আমি ৭ এ শুরু করি। ওর সাথে আমার অনেক ইনিংস আছে যেখানে আমি কথা বলতাম ওর সাথে, গাইড করতাম মারবে কিনা বা অন্য কিছু। কারণ রিয়াদ হিট করতে পারতো, সে ক্লিন হিটার ছিল ছোট বেলা থেকে। তাকে বলতাম লম্বা ইনিংস খেলতে, সে শুনতো আমার কথা।’

(ঢাকাটাইমস/২৬ মে/এআইএ)