নোয়াখালীতে সেই ব্যবসায়ীর স্ত্রী-ছেলেরও করোনা শনাক্ত

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২০, ১৫:৫৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালী পৌরসভায় জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথায় মারা যাওয়া ব্যবসায়ী (৫৫)   করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনা শনাক্ত হয়েছে তার স্ত্রী ও ছেলেরও। এ নিয়ে নোয়াখালীতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান।তিনি বলেন, গত ২৪ মে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ী। ওই দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। করোনা উপসর্গ থাকায় তার সংস্পর্শে আসা স্ত্রী ও এক ছেলেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার রাতের রিপোর্টে তাদের তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়াও উপজেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও সাতজন। যার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন পরিসংখ্যানবিধ রয়েছেন। মোট শনাক্ত ৬০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। আক্রান্তদের বাড়ি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় লকডাউন করা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট আক্রান্ত ৪২৭ জন। বেগমগঞ্জে ২২৪, কবিরহাটে ৫৬, সদরে ৬০, চাটখিলে ৩০, সোনাইমুড়ীতে ১৯, সুবর্ণচরে ১৪, সেনবাগে ১১, কোম্পানীগঞ্জে সাত ও হাতিয়ায় ছয়জন রোগী রয়েছে। যাদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮), বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) ও আমিনুল ইসলাম মিন্টু (৪৭) নামের দুই ব্যবসায়ী, সোনাইমুড়ীতে ফখরুল ইসলাম বাচ্চু (৫৯) নামের এক কৃষক, বেগমগঞ্জের কুতুবপুরে শহিদুর রহমান (৬৬), চৌমুহনী পৌরসভা করিমপুরের বেলাল উদ্দিন (৫৭), চৌমুহনী পৌরসভার পশ্চিম গণিপুর হাজী আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৭৪), নরোত্তমপুরে জতন লাল সাহা (৬৫), সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটার মাঈন উদ্দিন মানিক (৬৫) ও নোয়াখালী পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ড জয়কৃষ্ণপুরের আব্দুর রাজ্জাক ফারুক (৫৫)। সুস্থ হয়েছেন ২৯জন।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/কেএম)