একাধারে সামলাচ্ছেন ত্রাণ বিতরণ, মন্ত্রণালয় ও দলীয় কাজ
করোনাকালে একজন তথ্যমন্ত্রীর কর্মযজ্ঞ
করোনাকালে অনেকের চেয়ে ব্যতিক্রমই বলা যায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের তৎপরতাকে। শুরু থেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন। একাধারে অসহায় মানুষকে ত্রাণ বিতরণ, নিজ মন্ত্রণালয় ও দলীয় কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের এই সংসদ সদস্য।
করেনা পরিস্থিতির মধ্যে বেশ কয়েকবার নিজ নির্বাচনী এলাকায় সশরীরে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেন হাছান মাহমুদ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজ জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুবার বিভাগীয় সমন্বয় সভা করেন, যা আর কোনো মন্ত্রীর বেলায় ঘটেনি বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যগন্ত তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলায় জেলে থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত সব শ্রেণি-পেশার ১৫ হাজারের বেশি নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা দিয়েছেন, দিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি নিজ পারিবারিক সংস্থা এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করছেন ড. হাছান মাহমুদ। করোনা ঝুঁকির মধ্যেই বেশ কবার এলাকায় গিয়ে নিজে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। মন্ত্রণালয় ও দলীয় কাজে তার ব্যস্ততা থাকলে ফাউন্ডেশন ও দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে তার পক্ষে ত্রাণ পৌঁছে দেন। নেতাকর্মীরো মন্ত্রীর পক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সমাজের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার অসহায় মানুষ তথ্যমন্ত্রীর সহায়তা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কর্মহীন দিনমজুর, কৃষি, পরিবহন ও খামারের শ্রমিক, তাঁতি, জেলে, ভ্যান ও রিকশাচালক এমনকি মন্দিরের পুরোহিত, বৌদ্ধভিক্ষুসহ সব নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে তথ্যমন্ত্রীর সহায়তা ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেছে এবং তা চলমান।
ঈদ উপলক্ষে এলাকার সব মসজিদের প্রায় দেড় হাজার ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমকে ঈদের বিশেষ সহায়তা, উপহার ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ড. হাছান মৃহমুদ। পুলিশের সুরক্ষার জন্য রাঙ্গুনিয়া থানা-পুলিশকে সরবরাহ করা হয় পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই)।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রী এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকার ১৫ হাজারের বেশি পরিবারে খাদ্য সহায়তা ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন। করোনা সংকটকালে তথ্যমন্ত্রীর এই কার্যক্রম চলতে থাকবে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গুনিয়ায় নিজ গ্রামে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী যেভাবে নিজের পারিবারিক সংস্থা থেকে ত্রাণ দিয়েছেন, তাতে উৎসাহিত হয়ে তার নির্বাচনী এলাকার সব বিত্তবান ও দলীয় নেতাকর্মীও ত্রাণকাজে আত্মনিয়োগ করেছেন বলে জানান এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন তালুকদার।
করোনার এই দুর্যো গের সময় তথ্যমন্ত্রী তার ওপর বিভাগীয় সমন্বয়ের দায়িত্ব পালনের কথা ভুলে যাননি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজ জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুবার বিভাগীয় সমন্বয় সভা করেন তিনি। আর কোনো মন্ত্রী কিংবা নেতার বেলায় এ ধরনের ঘটনার কথা জানা যায়নি।
করোনায় অনেক দপ্তর বন্ধ থাকলেও তথ্য মন্ত্রণালয় ও এর জনসম্পৃক্ত দপ্তরগুলো মন্ত্রীর নির্দেশে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তার জনসংযোগ কর্মকর্তা। তিনি জানান, তথ্যমন্ত্রী নিজে প্রতিদিন অফিস করছেন। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়মিত ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় ত্রাণ বিতরণ সমন্বয় কাজে যুক্ত থাকছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/মোআ)