মির্জাপুরে মসজিদ কমিটির নেতাকে সপরিবারে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২০, ১৮:৫৫ | আপডেট: ২৭ মে ২০২০, ১৯:১৯

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ ছয়জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে মাথায় গুরুতর জখম আলম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ছলিমনগর নামাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আলমের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজনকে আসামি  করে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ছলিমনগর নামাপাড়া গ্রামে মা আয়েশা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে পরিচালনা কমিটির ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওই গ্রামের মো চাঁন মিয়া (৬০)। রমজান মাসে কমিটির সিদ্ধান্তে মসজিদে রোজাদারদের সারা মাস ইফতারির আয়োজন করা হয়। শেষে কিছু টাকা অতিরিক্ত হলে ৩০তম রোজায় মুসুল্লিদের খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৪ মে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে মসজিদের পশ্চিমপাশে জনৈক সবুজ মিয়ার মুদি দোকানের সামনে খিচুরি রান্না শুরু হলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের ক’জন রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রসহ নিয়ে কেশিয়ার চাঁন মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হাকিম মিয়া (৩৫), আল আমিন (২৫), জুয়েল মিয়া (২৫), কালাম মিয়া (২২), ফারুক মিয়া (২৩), লিপু মিয়া (৩০) ও বদর উদ্দিন (৫০)সহ অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজন। কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় ক্যাশিয়ার চাঁন মিয়ার আর্তচিৎকারে তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, আনোয়ার হোসেন ও মো. আলম মিয়া, আলমের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জহুরা বেগম এবং চাঁন মিয়ার ভাতিজা জাহাঙ্গীর ও শাকিল এগিয়ে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে। এ সময় আসামিদের আঘাতে চাঁন মিয়ার ছেলে আলম মাটিতে পড়ে গেলে হাকিম মিয়া রাম দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এ সময় তারা আনোয়ারা বেগমের শ্লীলতাহানীর চেষ্টাও করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে গুরুতর আহত আলমসহ অন্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

এদিকে ঘটনার পর আলমের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/কেএম)