শেরপুরে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতির শিকার দুইশতাধিক কৃষক

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২০, ২০:৩৪

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টিতে দেড় শতাধিক কৃষকের সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে প্রায় অর্ধশত মানুষের কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙেছে। গত তিন দিনে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া ও গোমড়া গ্রামের কৃষকদের এ ক্ষতি হয়। এদিকে ঘুর্নিঝড় আম্ফানের প্রভাবে শ্রীবরদী উপজেলার ৬০ জন কৃষক ক্ষতির শিকার হন।

গোমড়া গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন জানান, তার মতো প্রায় অর্ধশত মানুষের বাড়ি-ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত ওইসব বাড়ির লোকজন খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন।  

কৃষক আসমত আলী জানান, ঝড়ে কলা ও লিচু বাগানসহ, আম, কাঁঠাল, বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া করলা, ঢেঁড়স, কাকরলের মাচা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

কৃষাণী আঞ্জুয়ারা জানান, তিনি ২৫ শতাংশ জমিতে কাকরল চাষ করেছিলেন। কালবৈশাখীর ঝড়ে তার ক্ষেতের মাচাগুলো সব ভেঙে গেছে। ওই জমি থেকে সবজি আবাদের টাকায় তার পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। এখন তাকে সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

তিনিসহ ক্ষতিগ্রস্থ অন্যান্য কৃষকরা এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, এখন পর্যন্ত ওই দুই গ্রামের ৩৫ হেক্টর জমির সবজি আবাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরিতে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া কাঁঠাল পাকার সময় ঘনিয়ে আসায় ফল খেতে বন্য হাতির দল মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। যে কারণে চলতি আউস আবাদ এবং ফসলি জমির ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়গুলো জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এ কাজ বাস্তবায়নে প্রণোদনাও দেবে সরকার। ওইসব প্রণোদনা হাতে পৌঁছলে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সার ও বীজ দিয়ে সহায়তা করা হবে।

অন্যদিকে বুধবার সকালে শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান, ঘুর্নিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উপজেলার ভেরুয়া ইউনিয়নের ভারারচর, চকবন্দি ও শিমুলচুড়া গ্রামের ১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ওইসব জমিতে রোপন করা ডাটা এবং পাট ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ায় ৬০ জন কৃষক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৭মে/পিএল