আগুন লাগা নিয়ে যা বলল ইউনাইটেড
আগুন লেগে রোগীর মৃত্যু বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে’ আগুন লেগে থাকতে পারে। আবহাওয়া বৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হাসপাতালে ভর্তি সকল রোগীর নিরাপত্তার ব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তাই রোগী ও তার পরিবারকে ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনায় আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে তারা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে কোভিড আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লাগে। আগুন লাগার কয়েক মিনেটের মধ্যে করোনা রোগীদের জন্য তৈরি আইসোলেশন ইউনিটের সবত্র ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল ও বিদ্যুৎ চমকাচ্চিল। বাতাসের তীব্রতায় আগুন প্রচণ্ড দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে ভর্তি পাঁচজন রোগীকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি এবং ভিতরে থাকা পাঁচজনই মারা যান।
এই পাঁচজনের মধ্যে চারজন পুরুষ। একজন নারী। তারা হলেন রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন এন্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) এবং মো. মাহবুব (৫০)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরে হাসপাতালের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ও দমকল বাহিনীর সহায়তায় ১৫-২০ মিনিটে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় বলে। আগুনের কারণ অনুসন্ধানে দমকল বাহিনীর করা তদন্ত কমিটিকে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহায়তা করছে বলেও দাবি করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/এইচএফ)