এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি-অপহরণ মামলা

এক্সিম ব্যাংকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ ন্যাশনাল ব্যাংকের

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২০, ১২:০১ | আপডেট: ২৮ মে ২০২০, ১২:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এএমডি) ‍অপহরণ, হত্যার হুমকি এবং তার আগে গুলি ছোড়ার ঘটনাকে অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আরেক বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ও সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার এবং তার ভাই সিকদার গ্রুপের পরিচালক দিপু হকের বিরুদ্ধে এক্মিম ব্যাংক গত ১৯ মে এক মামলায় অভিযোগ করে, প্রস্তাবিত ঋণের বন্ধকি সম্পত্তির দাম কম হওয়ার কথা বলায় এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডিকে তারা অস্ত্রের মুখে অপহরণের পর হত্যার হুমকি দেন। গত ৭ মের এই ঘটনা ও মামলার খবর গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

মামলা ও অভিযোগের খবর প্রকাশের পর গতকাল বুধবার ন্যাশনাল ব্যাংকের আইনি পরামর্শক হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার অভিযোগ নাকচ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য পাঠান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের প্যাডে বাসেত মজুমদারের পাঠানো বক্তব্যে বলা হয়, রন হক এক্সিম ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ পেতে কোনো আবেদন করেননি। তিনি এক্সিম ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখায় যাননি, এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও এএমডির সঙ্গেও দেখা করেননি। বরং এক্সিম ব্যাংকের কয়েকজন পরিচালক ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘মামলায় এক্সিম ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। অথচ রন হক সিকদার এ ধরনের কোনো ঋণের আবেদন করেননি। মামলার বাদী তা কোনোভাবে দেখাতেও পারবেন না। এ ছাড়া রন হক সিকদার ও ন্যাশনাল ব্যাংকর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ৭ মে এক্সিম ব্যাংকের গুলশান অ্যাভিনিউ শাখায় যাননি, কোনো ঋণ প্রস্তাব নেই এবং ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডির সঙ্গে দেখা করেননি। সে ক্ষেত্রে ঋণ ও ঋণের জামানতসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দর–কষাকষির সুযোগ আসতে পারে না।

বিবৃতিতে বাসেত মজুমদার বলেন, এক্সিম ব্যাংকের জনৈক পরিচালক ব্যবসা প্রসারের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকারের ঋণসুবিধা গ্রহণ করেন। জনৈক পরিচালক তার কন্যার নামেও ঋণসুবিধা গ্রহণ করেন, তিনি বেনামে ঋণসুবিধা গ্রহণের জন্য প্রস্তাব পাঠান। গুলশান থানায় করা মামলার বাদী নিজেও ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণসুবিধা নিয়েছেন। এসব ঋণের উপযুক্ত জামানত নেই। এরপরও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জনৈক পরিচালক ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ১৩ মে ৫ কোটি টাকা ঋণসুবিধা গ্রহণ করেন।

‘আর মামলার বাদী এই ঘটনার সাক্ষীও নন। তিনি এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডির সঙ্গে আলোচনা না করে শুধু নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার ১২ দিন পর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করেন। এ মামলা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য করা হয়েছে।’

ন্যাশনাল ব্যাংক এবং তার পরিচালনা পর্ষদ স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভুয়া ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের জন্য আমি আমার মক্কেলের পক্ষ হইতে দৃঢ় প্রতিবাদ জানাই এবং আমার মক্কেলের দৃঢ় বিশ্বাস মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হইবে এবং প্রকৃত দোষী এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও নাদীকে আইনের ও ন্যায়বিচারের সম্মুখীন হইতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/মোআ)