১০ মিনিটে পণ্য শুল্কায়নের রেকর্ড বেনাপোলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ মে ২০২০, ১৯:৪৯

দশ মিনিটে শুল্কায়ন, ১৯ মিনিটে রিলিজ অর্ডার। শুল্কায়ন সময় হ্রাসে নতুন রেকর্ড। গত ১৯ মে মঙ্গলবার এ রেকর্ড করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেনাপোল কাস্টম হাউস। ভারত থেকে ২১টি রেল ওয়াগন বোঝাই পাটবীজ আমদানি হয়। সাত লাখ ৭৫ হাজার কেজি (৭৭৫ টন) ধানবীজ। সম্ভাব্য খাদ্য সংকটরোধে ধানবীজ দ্রুত কৃষকের হাতে পৌঁছাতে নজিরবিহীন এ পদক্ষেপ নেয়া হয় বেনাপোল বন্দরে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এনবিআরের কেন্দ্রীয় কাস্টমস সফটওয়্যার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডর তথ্যে দেখায়, ধানবীজের ওয়াগনগুলো ১৯ মে সন্ধ্যা ৭.১৯ মিনিটে রেলওয়াগনে বেনাপোল রেলস্টেশনে পৌঁছে ১১টা ২৭ মিনিটে রাতেই সিএন্ডএফ এজেন্ট সারথি এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি রেজিস্ট্রেশন করে ১১টা ৩৬ মি. রাজস্ব কর্মকর্তা নঈম মীরন শুল্কায়ন অনুমোদন করেন। নয় মিনিটে সিএন্ডএফ এজেন্ট পরবর্তী সোনালী ব্যাংকে শুল্ককর জমা করেন। ১১টা ৪৬ মিনিটে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রিলিজ অর্ডার প্রিন্টেড করে। সর্বসাকুল্যে ১৯ মিনিটে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ১০ মিনিটে শুল্কায়ন ও পরবর্তী নয় মিনিটে রিলিজ অর্ডার প্রিন্ট হয়।

রাজস্ব কর্মকর্তা নঈম মীরন বলেন, সমগ্র আমদানি প্রক্রিয়ায় এ টুকুই কাস্টমসের কাজ। তিনি আরো বলেন, শেষ ৯ মিনিট সময়সিএন্ডএফ এজেন্ট টাকা জমা দিতে নিয়েছেন। সবঠিক থাকলে পাঁচ মিনিটেও আমরা শুল্কায়ন করার দক্ষতা অর্জন করেছি। কাগজপত্র ঠিক থাকলে কেবল রেলকার্গো নয়, সবধরনের চালানই দ্রুত শুল্কায়ন করা যায়।

আমদানি চালানে দেখা যায়, ভারত থেকে দুটি চালানে রাইসসিড (ধানবীজ) আমদানি হয়। ২১টি রেল ওয়াগনে সাত লাখ ৭৫ হাজার কেজি (৭৭৫ মেট্রিক টন) ধানবীজ আমদানি হয়। ঢাকার গুলশানের বায়ার ক্রপসাইন্স লিমিটেড ভারতের বায়ারবায়ো সায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এসব বীজ ক্রয় করে। সিএন্ডএফ এজেন্ট সারথী এন্টারপ্রাইজ বিল অব এন্ট্রি দাখিলকরে (সি-২১৯৯৩ ও ২১৯৯৪)। দি সিটি ব্যাংক গুলশান শাখায় এলসি খোলে। এসব বীজের শুল্ককর ৭৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫০৮টাকা। রেলকার্গোতে আমদানি দ্রুত শুল্কায়ন, খালাস হয়। সময় ও খরচ সাশ্রয়ের সাথে পণ্য নষ্ট হয় না। পার্কিং সিন্ডিকেট মাঝপথেট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করতে পারে না। রেলকার্গোতে লকডাউন ও স্বস্থ্যবিধি মেনে আমদানি করা হয় এবং করোনা ঝুঁকি থাকে না।

ট্রাক ও রেলকার্গোর তুলনা করে দেখা যায়, বর্তমান রেলকার্গোটি মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ভারত থেকে বেনাপোলে পৌঁছে। একওয়াগন চার ট্রাকের সমান পণ্য আনা যায়। রেলকার্গোতে মিথ্যা ঘোষণার সুযোগ কম। ভাড়া ট্রাকের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। আবশ্যিক পার্কিং, ট্রাক অপেক্ষা ও চাঁদাবাজি নেই। দিনে ১০০ বগির একটি ট্রেন ৪০০ ট্রাকের সমান পণ্য আনতে পারে।

ট্রাকে ধানবীজের এ চালানটি আমদানি হলে পাঁচ থেকে ছয় দিন খালাস পর্যন্ত লাগত। ৫০টির বেশি ট্রাকের প্রয়োজন হতো। ৫০ জন ড্রাইভার একজন না এলে খালাস বন্ধ। যানজট বন্দরে ও রাস্তায় সৃ্ষ্টির কারণ হতো। ট্রাকে একই চালানের ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি। প্রান্তিক ভোক্তা কৃষকের ব্যয় প্রায় ২৫% বেড়ে যেত।

(ঢাকাটাইমস/২৮মে/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :