নিরাপদ ফাইভজি পণ্যের সনদ পেল হুয়াওয়ে

প্রকাশ | ২৯ মে ২০২০, ১১:২৩

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ফাইভজি পণ্যের জন্য বিশ্বের প্রথম কমন ক্রাইটেরিয়া (সিসি) ইভালুয়েশন অ্যাসুরেন্স লেভেল (ইএএল) ফোরপ্লাস সনদ অর্জন করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের ফাইভ-জি বেজ স্টেশন  এবং ফাইভ-জি ওয়্যারলেস পণ্যগুলো যে নিরাপত্তার দিক দিয়ে বিশ্ব মানসম্পন্ন সে বিষয়টির স্বীকৃতি হিসেবেই এই সনদ দেয়া হয়েছে। 

স্পেনের সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সিসিএন (সেন্ট্রো ক্রিপ্টোলজিকো ন্যাশনাল) গত ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়ে ৫৯০০ সিরিজ ফাইভজি জিনোডবি সফটওয়্যারকে এ স্বীকৃতি প্রদান করে।

স্পেনের আইটি সিকিউরিটি ইভালুয়েশন ও সার্টিফিকেশন স্কিমের শর্তসমূহ মেনেই মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করা হয়েছে। মূল্যায়ন কারগিরি প্রতিবেদনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের সিদ্ধান্তগুলো প্রাসঙ্গিক প্রমাণের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানায় সিসিএন।

নিরাপত্তা সনদের ক্ষেত্রে সিসি সনদ বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ও স্বীকৃত। এর সাতটি স্তর রয়েছে। ইএএলফোরপ্লাস কিংবা পরের স্তরের জন্য সোর্স কোড পরীক্ষা ও যথার্থতা যাচাই করা প্রয়োজন। ইএএলফোর হলো ‘সর্বোচ্চ স্তর যেখানে ব্যয় কমিয়ে বিদ্যমান পণ্যে নতুন সরঞ্জামাদি সংযোজন করা যায়।’   

এ নিয়ে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চ্যান বলেন, ‘হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, আস্থা অর্জনের বিষয়টি প্রকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই হওয়া প্রয়োজন, তথ্যগুলোও যাচাইযোগ্য হওয়া উচিত এবং সাধারণ মানদণ্ডের নিরিখে এ যাচাই প্রক্রিয়াটি হওয়া প্রয়োজন। এ শিল্পখাতে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো চিহ্নিতের জন্য সনদই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।’  

হুয়াওয়ে এর পণ্য গবেষণা ও উন্নয়নে ইতিমধ্যেই সিসি ও এফআইপিএস’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাইবার নিরাপত্তা সনদের মানদণ্ড অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং এ পণ্যগুলো নিরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানটি  তৃতীয় পক্ষের প্রতিষ্ঠানসমূহকেও আমন্ত্রণ জানায়। 

বর্তমানে, হুয়াওয়ের পণ্য ও সমাধানগুলো ২৭০ টিরও বেশি নিরাপত্তা সনদ অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সিসি, এফআইপিএস এবং সিএসএ।   

জে আরও বলেন, ‘বিশ্বের প্রথম ফাইভ-জি সিসি ইএএলফোরপ্লাসের সনদ প্রাপ্তির বিষয়টি আবারো আমাদের ফাইভ-জি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। হুয়াওয়ে ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনী ফাইভ-জি প্রযুক্তিগুলো নিয়ে কাজ করবে এবং বৈশ্বিক অপারেটরগুলোর জন্য ফাইভ-জি’র বাণিজ্যিক ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে।’   

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/এজেড)