‘শোয়েবের বল খেলতে গিয়ে চোখ বুজে ফেলতেন শচীন’
অসামান্য গতির কারণে আজও ক্রিকেট ভক্তদের মুখে মুখে শোয়েব আখতারের নাম। শোয়েবের বল সামাল দিতে খাবি খেয়ে যেতেন বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ব্যাটসম্যান। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারও নাকি শোয়েবের বল খেলতে গিয়ে চোখ বুজে ফেলতেন। এমনটাই দাবি করছেন পাক বোলার মোহাম্মদ আসিফ। শোয়েবের এক্সপ্রেস গতির বোলিংয়ের জন্যই ২০০৬-এ করাচি টেস্টে ভারতের গ্রাস থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছিল পাকিস্তান, দাবি করেছেন তিনি।
আসিফ এক সময় পাক বোলিংয়ে অসামান্য প্রতিভা বলে গণ্য হতেন। কিন্তু ২০১০-এ ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিং স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হন তিনি। এক পাক টেলিভিশন শো’তে তিনি স্মৃতিচারণ করেছেন ২০০৬-এ করাচিতে ভারত-পাক তৃতীয় টেস্টের। মুলতান ও ফয়জলাবাদ টেস্ট ড্র হয়, ২৯ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চলে সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় টেস্ট।
আসিফ বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসের প্রথম ওভারেই ইরফান পাঠান হ্যাটট্রিক করায় পাকিস্তান ব্যাকফুটে চলে যায়। উল্টোদিকে ভারতীয় দলে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দ্র সহবাগের মত ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং লাইন আপ এতটাই সমৃদ্ধ ছিল যে এম এস ধোনি ব্যাট করতে আসতেন সাত কিংবা আটে। ফলে উদ্বেগ ছিল।’
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান দল ২৪৫-এ অল আউট হয়ে যায়। পাঠানের হ্যাটট্রিক সামনে কামরান আকমল ১১৩ করায় কিছুটা ভদ্রস্থ রান করে তারা। কিন্তু পাক বোলাররা দুর্দান্ত বল করেন, ২৩৮-এ অল আউট হয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট খুইয়ে ৫৯৯ রান করে পাকিস্তান। ভারত ব্যাট করতে নামলে পাক বোলিংয়ের হাল ধরেন শোয়েব আখতার। আসিফের দাবি, এক্সপ্রেস গতিতে সেদিন বল করছিলেন তিনি, স্কোয়ার লেগে আম্পায়ারের কাছে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তিনি নিজের চোখে দেখেন, শচীন টেন্ডুলকারও শোয়েবের দুটো একটা বাউন্সার সামলাতে গিয়ে চোখ বুজে ফেলছিলেন।
ভারতীয়রা ব্যাকফুটে চলে যান, প্রথম ইনিংসে ২৪০-ও তাদের করতে দিইনি আমরা। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনি। আসিফ স্মৃতিচারণ করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৯ মে/এআইএ)