তৌহিদুল হকের তিনটি কবিতা
প্রকাশ | ২৯ মে ২০২০, ১২:০৪ | আপডেট: ২৯ মে ২০২০, ২০:১৮
চুম্বন
সকল নীরবতা ভেঙে এক মায়াবী বন্ধনমুখে
পেছনে ফেলে যাচ্ছি এক ঝাঁক ব্যথা, নিয়ে যাচ্ছি কান্না
কান্নায় সম্বল করে সাজাবো রূপালী সংসার। সেখানে হয়তো
সবসময় অভাব পূরণ হবে না, পূরণ হবে না অন্তর্নিহিত ক্ষুধা
রাত ঠেলে ভোরে তোমার ঘুমন্ত মুখ বাঁচার আশা জাগাবে
চাল, ডাল, মরিচ আর লবণের হিসেবে ঘরমিল হবে।
তুমি যা চাইবে, তা হয়তো আমি বাজার থেকে আনতে পারবো না
অথবা বাজার আমাকে দিবে না। তবে ভুলের মধ্যে ভুল
আমাকে সুযোগ দিবে অফুরন্ত। তোমার জীবনে প্রবেশ।
কতোবার ভেঙ্গে চুরে তোমায় গড়েছি, বিসর্জনও কম দেই নি
পারি নি, ফেরত আসতে। পেছন থেকে হৃদয়গ্রাহী ডাকে
পারি নি একা ফিরতে। সঙ্গ নিয়েছে কেউ। তুমি!
তোমার সাথে আমার সংসার সাজানে অদূর ভবিতব্য
নাই নাই করতে করতে গিয়ে দাঁড়াবো। একখন্ড জমি
দু’জন মিলে করবো গোলাপের চাষ, বাজারে বিক্রি করবো।
তবে একটাই শর্ত গোলাপের বিনিময়ে অর্থ নয়।
গোলাপ চায় গোলাপ, তোমার নাকে হাত রেখে কপালে চুম্বন।।
নীরবতা
গোধূলী গড়িয়ে সন্ধ্যার মেঘমালা, অদৃশ্য অজানা
নিশ্চুপ বসে আছি, পায়ের ওপর পা। অনেক ভারী ও অকর্মণ্য
দৃষ্টি ঝাপসা, হৃদয় কোণে নরম জিজ্ঞাসা। কেউ কি এসে ভাঙ্গাবে
এ তন্দ্রা, নির্জীব নীরবতা। রাতের আধার ডাকে, সম্মুখপানে
মন চায় না উঠে গিয়ে আলো আনি ধার করে, রাতের কাছ থেকে
তোমায় ছাড়া আলোও অন্ধকার, হারিয়ে যাওয়ার বাসনা। আবার হারিয়ে যাওয়া!
থেমে যেতে হয়
ভুলতে কী পেরেছি, তোমায় বুলতে! যত বেশী ভুলতে চেয়েছি
তত বেশি কাছে এসেছি। কিংবা তুমি আকড়ে ধরেছো
যেমন গাছের শিকড় ধরে মাটি। মিলেমিশে বাঁচার সংগ্রাম।
এক নামবিহীন সংসার, কখনো নেই নেই চিৎকার। আবার
অল্পতে খুশির ডামাডোল। কখনো অতি বেশিতেও অতুষ্টি।
চলতে চলতে থেমে যেতে হয়, কাউকে দিতে সুযোগ কিংবা জায়গা।